Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

বাঞ্ছারামপুরের গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আবু কায়েস সিকদার


দৈনিক পরিবার | মনিরুজ্জামান পামেন নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম বাঞ্ছারামপুরের গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আবু কায়েস সিকদার

তিতাস বিধৌত সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চার অন্যতম পীঠস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। যে জেলা জন্ম দিয়েছে অসংখ্য কৃতি সন্তানকে। এখানকার মাটি ও মানুষে লালিত হয়েছে কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, অভিনেতা, উদ্যোক্তা, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, সামরিক কর্মকর্তা ও আধ্যাত্মিক সাধক। এই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মনাইখালী গ্রামের গর্বিত সন্তান মোহাম্মদ আবু কায়েস সিকদারও আজ এক উজ্জ্বল নাম।
১৯৭৬ সালের ৩ ডিসেম্বর এক সুশিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা মোহাম্মদ আবদুল করিম সিকদার এবং মাতা মোসাম্মদ ফয়জুন্নাহার সিকদার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বড় ভাই মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম সিকদার বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও আয়নব্যয়ন কর্মকর্তা। দ্বিতীয় ভাই আবু কাওসার সিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। বড় বোন উম্মে সালমা ইডেন কলেজ থেকে হোম ইকোনোমিকসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, আর ছোট বোন আনারকলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর ভগ্নিপতি প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন ২ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান একবার লেদার টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
পারিবারিকভাবে সিকদার পরিবারটির সামাজিক মর্যাদা ও ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। দাদা হাজী মহব্বত আলী সিকদার এবং নানা জীবন মিয়া নিজেদের সময়ে ছিলেন এলাকার মর্যাদাবান ব্যক্তি।
বর্তমানে মোহাম্মদ আবু কায়েস সিকদার একজন সফল উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি। তিনি সায়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের অধীনে রয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠান যার মধ্যে দুটি গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই গ্রুপের সায়ান ফ্যাশন, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, সায়ান কালেকশন লিমিটেড ও এসকে ট্রিমস দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
কেবল সফল ব্যবসায়ী হিসেবেই নয়, আবু কায়েস সিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সামাজিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাঁর দাদা হাজী মহব্বত আলী সিকদার ১৯৪৯ সালে মনাইখালী গ্রামে প্রথম পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন, যা আবু কায়েস সিকদার পরবর্তীতে আধুনিকায়ন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ফয়জুন্নাহার কিন্ডারগার্টেন হাফেজিয়া মাদ্রাসা, এবং গ্রামের ঈদগাহ মাঠ পুননির্মাণসহ বহু সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
বাবার চাকরির সুবাদে নরসিংদীর পলাশে তাঁর বেড়ে ওঠা। সেখানকার ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ‘ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজের মেধা, দক্ষতা ও অদম্য পরিশ্রমের মাধ্যমে আবু কায়েস সিকদার একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে যেমন স্বীকৃতি পেয়েছেন, তেমনি মানবিক গুণাবলিতে হয়ে উঠেছেন বাঞ্ছারামপুরবাসীর আপনজন। তাঁর স্বপ্ন একটি সুন্দর, আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাঞ্ছারামপুর। ঈদ, পূজা, পার্বণ কিংবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব ক্ষেত্রেই তিনি মানুষের পাশে থেকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বাঞ্ছারামপুরের কড়িকান্দি থেকে মরিচাকান্দি, তেজখালী থেকে পূর্বহাটি পুরো উপজেলায় আজ তাঁকে মানুষ চেনে একজন বিনয়ী, সজ্জন ও উদার হৃদয়ের মানুষ হিসেবে। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য এক নাম।
মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত এই মানুষটির নেতৃত্বে বাঞ্ছারামপুরের উন্নয়নযাত্রা আরও বেগবান হবে এমন প্রত্যাশাই আজ তাঁর প্রিয়জন ও শুভানুধ্যায়ীদের।

Side banner