Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাথরঘাটায় ১৫ অসচ্ছল নারী পেলেন সেলাই মেশিন


দৈনিক পরিবার | মল্লিক এম.আই বুলবুল সোহেল মে ১৭, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম পাথরঘাটায় ১৫ অসচ্ছল নারী পেলেন সেলাই মেশিন

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অসচ্ছল, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ১৫ জন নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সংগঠন ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’।  
তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের এই সেলাই মেশিন উপহার দেওয়া হয়। সেলাই মেশিন পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করার সময় অনেকেই আবেগে কেঁদে ফেলেন।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা থেকে আসা এসব নারীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেশিন তুলে দেওয়া হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শুভসংঘের পাথরঘাটা উপজেলার উপদেষ্টা  মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানকি সঞ্চালনা করেন শুভসংঘের পাথরঘাটা উপজেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম খোকন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাথরঘাটা উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা মনিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন এসমে সিকদার, পৌর জামাতের আমির মাওলানা বজলুর রহমান, পাথরঘাটা মডেল সভাপতি জাকির হোসেন খান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন,  পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু শিল্প-অর্থনীতির নয়, সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা উপকূলের চরাঞ্চলের অসহায় মানুষদের বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও মানবিক সেবার ক্ষেত্রে তাদের কাজ প্রশংসনীয়। আজকের এই সেলাই মেশিন উপহার সেই মহতী প্রয়াসেরই অংশ।
অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে কেঁদে ফেলেন পাথরঘাটা উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের বাসিন্দা মর্জিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী ২০০৭ সালের সিডরে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক কষ্ট করে দিন কাটছে আমাদের। এই সেলাই মেশিন পেয়ে আমি আনন্দিত। এটা দিয়ে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, স্বামী সাগরে যাওয়ার সময় ছেলের বয়স ছিলো দেড় বছর। সেই থেকেই সন্তান নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করে কোন রকম দিন চলছে।
অনুষ্ঠানে বিধবা কিংবা স্বামী পরিত্যক্তা এই ১৫ নারীর চোখে-মুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের দীপ্তি। কারও মুখে হাসি, কারও চোখে অশ্রু তবে সবার মনে আশার আলো।

Side banner