সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম রহমত আলীকে (৩৫) পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশে সোপর্দ করা রহমত আলী দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। পাশাপাশি স্থানীয় সুড়িগাওঁ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় লিয়াকতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে আরবি শিক্ষা নিতে সুড়িগাঁও জামে মসজিদে যায় শিশুটি। মক্তবের ছুটি শেষে সবাই বাড়ি ফিরলেও ভুক্তোভোগী শিশুটিকে কাজের কথা বলে নিজ কক্ষে নিয়ে যান ইমাম রহমত আলী। এক পর্যায়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে শিশুটিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন তিনি। এদিকে বাড়ি ফিরে প্রথমে শিশুটি ভয়ে বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করেনি।
ঘটনার চার দিন পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের চাপে সম্পূর্ণ বিষয় খুলে বলে সে। এসময় ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত রহমত আলীকে আটকে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
আপনার মতামত লিখুন :