ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই স্কুলের আয় ব্যয়, ভুয়া বিল ভাউচার, স্বেচ্ছাচারিতা এবং শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে বিদ্যালয়টি আজ প্রশ্নের সম্মুখিন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কেউ আসলেই তিনি বিশেষ খাম দিয়ে বিদায় করে দেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সচেতনমহল প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীরকে ‘খাম হুমায়ুন’ নামে অভিহিত করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের অপসারণ করা হয়। অথচ নানাবিধ অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তার একক স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বিগত সময়ে স্কুলটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে গিয়ে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তৎকালিন সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন ধনু মিয়া, এম এ মান্নান, লুৎফুর রহমান লিল মিয়া, রুস্তম আলম চেয়ারম্যান, আলমগীর হোসেন, এম এ হান্নান ও ফারুক মিয়ার মতো শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের। নিজের এহেন আর্থিক কেলেংকারিকে ধামাচাপা দিতে তিনি সবাইকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন। যা নিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও কানাঘুষা চলতো।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তৎকালিন ইউএনও, দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক সচিব দেলোয়ার বক্স বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পরিদর্শনে যান। ওই সময় ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সচেতন জনগণ প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে দুদকের সচিবের কাছে অভিযোগ দেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে নানা ঘটনায় সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হস্তক্ষেপ করেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় ছলিমাবাদে একটি মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রধান শিক্ষককে সংশোধনের সময় দেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি হুমায়ুন কবীর। তারই যোগসাজসে ইতালি ফেরত স্কুলের সহকারি শিক্ষক মো. গিয়াসউদ্দিনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের সবচেয়ে নিকটবর্তী ইউনিয়ন ছলিমাবাদ। শুধুমাত্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে সেই ৮০-৯০ দশকের দিকে শিক্ষা, অর্থনীতি ও সামাজিকভাবে অনগ্রসর ছিল এই জনপদ। এলাকার শিক্ষার উন্নয়ন ও বিস্তারে ছলিমাবাদ গ্রামের মরহুম কালু মিয়া মেম্বার ১৯৯৮ সালে নিজের ৫৫ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন “ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়”। পাশ্ববর্তীতে সাতবিলা ও সাহেবনগরসহ আরও কয়েকটি গ্রামের অনেক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নানাভাবে কালু মেম্বারকে সহযোগিতা করেছিলেন। এলাকার শিক্ষানুরাগী সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় গড়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি একসময় আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরবর্তীতে মিরপুর গ্রামের ড. রওশন আলম এগিয়ে আসেন। আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি তিনি ৭৯ শতক জমি কিনে দেন।
২০১০ সালে সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে প্রথমে নিম্ন মাধ্যমিক ও পরে ২০২০ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে দুটি ৪তলা ভবন নির্মাণ করে দেন। তাছাড়া তারই সুপারিশে ২০১৯ সালে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়।
২০১৩ সালে প্রথম ব্যাচ হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জনই পাশ করে। পরবর্তীতে নানা কারণেই প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। আর সেজন্য সচেতন মহল প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনাকেই দায়ি করছেন।
কালু মেম্বার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অপার সম্ভাবনাময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সর্বশেষ অনুদানের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলায় শিক্ষা খাতে ৪৫ লাখ টাকার সরকারি অনুদান বেহাত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউট’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক ও ২টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুদান পায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। অনুদান পাওয়া বাঞ্ছারামপুরের ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) এর আওতাভুক্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট (পিবিজিএসআই) স্কীমের অনুদান হিসেবে দেয়া হয়।
স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান (এসএমএজি/এমএমএজি/জিবিএজি) হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সারাদেশে ২ হাজার ৫শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। অনুদানের ওই অর্থ সরকারি নিয়মাবলীর ভিত্তিতে খরচ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সাথে পুরো ৫ লাখ টাকা খরচের বিল ভাউচারের ফটোকপি ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ উন্নয়ন ১ শাখায় স্কীমের অফিসে প্রেরণের অনুরোধ জানানো হয়।
২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্কীমের পরিচালক প্রফেসর চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ স্বাক্ষরিত স্মারক: পিবিজিএসআই/এসইডিপি/এসএমএজি/৪৪/২০২৩/৪৪১ থেকে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র: ৩৭.০০.০০০০.০৮১.৩৬.০০৪.২০(অংশ).৩৬০। তারিখ ১৩/১২/২০২৩ইং।
স্কীমের অনুদানের অর্থ ৫টি খাতে ব্যয় করার নির্দেশ দেয়া হয়। খাতগুলো হলো ১. শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা ১ লাখ টাকা। ২. বইপত্র, শিক্ষা উপকরণ, গবেষণাগার সরঞ্জাম ক্রয় এবং লাইব্রেরী উন্নয়নে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ৩. ছাত্র ছাত্রী বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসার ফ্যাসিলিটি (অবকাঠামো/বিশুদ্ধ পানি/শৌচাগার/কমনরুম/হাইজিন কর্ণার ইত্যাদি) তৈরি, নির্মাণ, সংস্কার উন্নয়নে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৪. সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ১ লাখ টাকা এবং ৫. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটি উন্নয়নে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই সাথে ৫টি শর্ত দেয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম একখাতের বরাদ্দের টাকা কোনভাবেই অন্যখাতে ব্যয় করা যাবে না। অথচ সরকারি বিধি নিষেধ কোনটাই পালন করেনি ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এমন অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে তদন্তে দেখা গেছে, অধিকাংশ খাতে অনুদানের অর্থের কোন কার্যকর ব্যবহার হয়নি, বেশিরভাগ কাজই হয়েছে কাগজে কলমে। শিক্ষক প্রণোদনার টাকা কিছুটা দেয়া হলেও এতিম তথা সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অনেককেই টাকা দেয়া হয়নি। কয়েকজন পেলেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া ওই সময় সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইলে বিকাশে টাকা দেয়ার নির্দেশনা ছিল। যা পালন করেনি ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর টাকা হাওয়া হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। বইপত্র ও শিক্ষা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের ভুয়া বিল ভাউচার তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলতে গেলে এ খাতে পুরো টাকাই লুটপাট হয়ে গেছে। আর সেই কারণেই এলাকাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই সময় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে সচেতনমহল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পিবিজিএসআই স্কীমের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইকল্পে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। পদাধিকার বলে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সদস্য সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সদস্যরা হলেন বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল কর্মকর্তা।
ওই সময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাছাইকৃত ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা হরিলুটের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে শিক্ষক প্রণোদনায় ১ লাখ, দরিদ্র শিক্ষা সহায়তা (স্কুল প্রতি ২০ জন) ১ লাখ টাকা, লাইব্রেরি ও বইপত্রের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ছাত্রীদের কমনরুম, শৌচাগার ও গবেষণা উপকরণে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী সহায়তায় ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। বাস্তবে ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশির ভাগেই বরাদ্দের কোন প্রতিফলন পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি থাকলেও বই অপ্রতুল; নেই ছাত্রীদের কমনরুম বা গবেষণার উপকরণ। তাছাড়া শিক্ষার্থীরাই জানেন না এমন অনুদান এসেছে। বলতে গেলে ‘পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউট’ প্রকল্পের টাকাগুলো আত্মসাৎ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী’ রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় এ বরাদ্দের অর্থ কোথায় গেল?
ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীর জানান, অনুদানের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় হয়েছে। কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি।
তবে সুবিধা বঞ্চিত ২০ জন শিক্ষার্থীদের নামে তালিকা তিনি দিতে পারেনি। তাছাড়া বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেয়ার স্লিপও তার সংগ্রহে নেই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক অভিভাবক বলেছেন, অনুদানের টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের জনৈক কর্মকর্তার যোগসাজসে টাকা ভাগভাটোয়ারা লুটপাট হয়ে গেছে বলে শুনেছি।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দকৃত ৪৫ লাখ টাকা খরচের বিল ভাউচার ২০২৪ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে জমা দেয়ার কথা ছিল। যথা সময়ে স্কীম পরিচালকের দপ্তরে জমা হয়েছে বলে দাবি করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক।
সুবিধা বঞ্চিত ১৮০ জন শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়ার পর তিনি জানান, কয়েকদিন পর তালিকা দিবেন। এই মুহুর্তে নতুন স্কীমের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
বাঞ্ছারামপুরের সচেতন অভিভাবকমহল ও এলাকাবাসীর বক্তব্য, সরকারি অর্থের এভাবে অপব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনা অনিয়ম-দুর্নীতির একটি বড় উদাহরণ। এখন প্রশাসনের দায়িত্ব দ্রুত তদন্ত করে দায়িদের বিচারের আওতায় আনা, যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ এ ধরনের অনিয়মের সাহস না পায়।
আপনার মতামত লিখুন :