গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় যার নাম চকদাতেয়া জামাদারের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। “বিদ্যালয়, মোদের বিদ্যালয়, এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়।” ব্যতিক্রম এই বিদ্যাপিঠের নাম ‘চকদাতেয়া জামাদারের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’ এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক সৃজনশীল পদ্ধতিতে করা হয় পাঠদান।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা হতে ১০ কিলোমিটার দূরে পদুমশহর ইউনিয়নে অবস্থিত চকদাতেয়া
গ্রাম। এই গ্রামে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যাপিঠ। মূলত প্রতিষ্ঠা লগ্নে এটি ছিল একটি জৌলস বিহীন টিনসেডের ঘর। এটি এখন ইট, পাথরের তৈরি দ্বিতল ভবন। এ বিদ্যাপিঠের যাত্রা বর্তমানে এই এলাকার মানুষের জন্য আশির্বাদ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে আসছে।
বর্তমানে ৬ জন শিক্ষক দিয়ে ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর চলছে পাঠদান। গ্রামীণ পরিবেশের ছোঁয়া যেন হৃদয় কেড়ে নেয় শহর ছেড়ে গ্রামের কারুকার্য অঙ্কিত, দৃষ্টিনন্দন এই বিদ্যাপীঠ।
সম্প্রতি সকাল ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সহকারী শিক্ষিকা মনিরা বেগমের যোগদানের প্রায় দুই মাস গত হচ্ছে। তিনি যোগদান করেই তার ইতিবাচক মনোভাব এবং কর্মোদ্যোগ এ বিদ্যাপিঠের সামগ্রিক পরিবেশ উন্নত করতে সাহায্য করছে।
এ দিন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম পলাশ ছুটিতে থাকায় সহকারী শিক্ষিকা মনিরা বেগম জানান, সরকারিভাবে প্রাপ্ত বরাদ্দ দ্বারা এ প্রতিষ্ঠানটিকে আরও স্মার্ট ও দৃষ্টিনন্দন বিদ্যাপিঠে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। যাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান মুখী হয়। এতে পাঠের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা উপকরণ ব্যবহারে শিশুদের একঘেয়েমি দুর হবে। শিক্ষক/শিক্ষিকাগণসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আশা করি এ প্রতিষ্ঠান এক দিন জাতীয় পর্যায়ে উন্নিত হবে। উন্মোচন হবে নয়া দিগন্তের।








































আপনার মতামত লিখুন :