আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও খসড়া তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার চারটি সংসদীয় আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বসবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল (১৯ অক্টোবর) রবিবার বিকেল ৩টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার ৩ (সদর ও রাজনগর) এই আসনে দলের ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহিদুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান, কানাডা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন এবং আমি (ফয়জুল করিম ময়ূন) নিজেই মনোনয়নপ্রত্যাশী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার সংসদীয় আসনে দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন। জেলার চারটি আসনেই একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী।
মৌলভীবাজার ৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, প্রার্থী হিসেবে গত নির্বাচনে আমি ছিলাম, এবারও আছি। বিগত ১৭ বছরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি; হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হইলাম। প্রতিটি সভা সমাবেশে সরব উপস্থিতি ছিল আমার। তখন অনেককেই পাওয়া যায়নি। অবশ্যই আমি মৌলভীবাজার ৩ আসনে মনোনয়ন চাইব।
তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রাম এবং দলের কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি এই হিসাবে আমাকে মূল্যয়ন করবেন- আমার বিশ্বাস। বৈঠকে যোগ দেওয়ার দাওয়াত পেয়েছি। আমি ছাড়াও অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক পাঁচবারের মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু।
তিনি বলেন, আমার রাজনীতির অভিজ্ঞতা ৫০ বছরের। ২০০১ সালে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলাম। টানা পাঁচবার পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭৪ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে যোগ দিই। রাজনীতির কারণে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন মামলার শিকার হয়ে বহুবার আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
মহসিন মিয়া আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে জনগণের নিরাপত্তায় মাঠে সক্রিয় ভূমিকায় পালন করেছি। করোনা মহামারি, বন্যা, বিভিন্ন উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ ভোটারদের বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাঁড়িয়েছি। বৈঠকে যোগ দেওয়ার দাওয়াত পেয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :