ইন্দোনেশিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনভাবে ওমরাহ পালনের অনুমোদন দিয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য দুইটি সমান্তরাল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। একটি প্রচলিত ট্রাভেল প্যাকেজের আওতায়, অন্যটি স্ব-ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে।
নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে ইন্দোনেশীয় মুসল্লিরা চাইলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ করতে পারবেন, আবার নিজেরাই সব কিছু ব্যবস্থাপনা করে ওমরাহ পালনের সুযোগও পাবেন।
ইন্দোনেশিয়ার হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইছসান মার্শা রোববার স্থানীয় দৈনিক টেম্পোকে বলেন, মূল পার্থক্যটি সেবার ধরণ ও দায়িত্বের জায়গায়। অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ করলে সরকার নির্ধারিত তত্ত্বাবধানে ভিসা, ফ্লাইট, আবাসন, যাতায়াত ও ধর্মীয় দিকনির্দেশনা সবই একত্রে পাওয়া যায়। অন্যদিকে স্বাধীনভাবে ওমরাহ পালনকারীদের সব ব্যবস্থা নিজেরাই করতে হবে সৌদি আরবের নিয়ম-কানুন মেনে।
মার্শা বলেন, খরচ এখানে তুলনামূলকভাবে কম। যাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী সেবা বেছে নিতে পারেন। এজন্য সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করতে হবে, যাতে চুক্তিকৃত সেবার নিশ্চয়তা থাকে।
ডেপুটি মন্ত্রী দাহনিল আনজার সিমানজুনতাক জানান, এই নীতি সৌদি আরবের হালনাগাদ ওমরাহ বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ইন্দোনেশিয়াকেও নিজেদের নীতিমালা হালনাগাদ করতে হয়েছে। তাই সংসদের সহযোগিতায় আমরা স্বাধীন ওমরাহকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছি।
আইনটির ১৪ নম্বর ধারার ৮৬ অনুচ্ছেদে তিন ধরনের ওমরাহ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে—১. অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে।২. স্বাধীনভাবে ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায়। ৩. মন্ত্রণালয়-পরিচালিত বিশেষ ব্যবস্থায়।
সরকার বলছে, এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো যেসব ইন্দোনেশীয় মুসল্লি আগে থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওমরাহ পালন করে আসছিলেন, তাদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। প্রতিবছর লাখ লাখ ইন্দোনেশীয় মুসলিম ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। নতুন এই নীতি তাদের জন্য আরও স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা আনবে বলে আশা করছে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন








































আপনার মতামত লিখুন :