হেডিংলির মাটিতে রূপকথার মতো এক ইনিংস খেলে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে এক ঐতিহাসিক জয় এনে দিলেন জো রুট। পঞ্চম দিনে চাপের মুখে দারুণ এক ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ডানহাতি এই ব্যাটার। তার অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ড ৩৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। টেস্ট ইতিহাসে এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৮ রান করা রুট দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন ছন্দে। বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলির ১৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৫৩। তখনই দলের হাল ধরেন রুট। বুমরাহ, জাদেজার মতো বিশ্বমানের বোলারদের সামলে ৮৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৫৩ রানের এক অনন্য ইনিংস খেলেন রুট। সেটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
এই ইনিংসের মাধ্যমে টেস্টে রুটের এটি ছিল ১০২তম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস (৬৬ ফিফটি ও ৩৬ সেঞ্চুরি)। পাশাপাশি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রান তাড়ায় সবচেয়ে বেশি ফিফটি করার রেকর্ডও এখন তার দখলে (৪টি), পিছনে ফেলেছেন বেন স্টোকসকে (৩টি)। আরো একটি অসাধারণ মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) মোট রান সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১,০৫৩ পিছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনথ জয়াসুরিয়াকে (২১,০৩২)। এখন তিনি রয়েছেন সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার নবম স্থানে।
চতুর্থ দিনে তিনি নাম লেখান আরেকটি অভিজাত তালিকায় রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে যৌথভাবে টেস্টে নন-উইকেটকিপার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ (২১০টি) নেওয়ার রেকর্ডে ভাগ বসান রুট।
এই টেস্টে আরো একটি গৌরবময় অর্জন যোগ হলো রুটের ঝুলিতে। ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচগুলোতে এখন তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
শচীন টেন্ডুলকারকে (১,৫৭৫ রান, ৩০ ইনিংস) টপকে এই ম্যাচে রুটের মোট রান দাঁড়ায় ১,৫৯১ (২৬ ইনিংসে)। এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় কিংবদন্তিকেও ছাড়িয়ে গেলেন রুট।
২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পর থেকেই দলের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন জো রুট। ১৫৪ টেস্টে তার রানসংখ্যা ১৩,০৮৭; গড় ৫০.৯২ টেস্ট ইতিহাসে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ রান।
আপনার মতামত লিখুন :