পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ লঞ্চঘাটে ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলে আল-আমিনের (৩৫) মরদেহ ২৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে নদীতে পড়ে যান তিনি। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে চরমোন্তাজসংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আল-আমিন গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রশি দিয়ে ট্রলারটি ঘাটের সঙ্গে বাঁধার জন্য নামতে গিয়ে পন্টুনে পা পিছলে পড়ে মাথায় আঘাত লেগে ঘাট সংলগ্ন নদীতে পড়ে যান এবং প্রবল স্রোতে মুহূর্তেই তলিয়ে যান নিখোঁজ জেলে। সহকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েও তাকে খুঁজে পায়নি। খবর পেয়ে রাঙ্গাবালী নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তল্লাশির পর অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বলেন, নিখোঁজের খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করি। নদীর স্রোত অনেক বেশি ছিল, তাই অভিযান চালানো কঠিন ছিল। কিন্তু অবশেষে আমরা মরদেহটি শনাক্ত করতে সক্ষম হই।
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চরমোন্তাজ ঘাট। নদীর তীরে ভিড় করে স্বজন ও গ্রামবাসী—চোখে মুখে হতবাক শোক আর কান্না।
স্থানীয় জেলেরা জানান, আল-আমিন ছিলেন সাহসী ও অভিজ্ঞ একজন জেলে। ভালো সাঁতার জানতেন, কিন্তু দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় সব কিছু শেষ হয়ে গেল।
আপনার মতামত লিখুন :