বাগেরহাটের শরণখোলায় অবসরপ্রাপ্ত ইবতেদায়ী শাখার শিক্ষক আব্দুল মোতালেব (৬৫) এর মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার খাদা চারঘাটা এলাকা থেকে এ মৃত উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মিতু ইউসুফ গাজীর পুত্র মোতালেব গাজী রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গগণ মেমোরিয়াল মাদ্রাসায় ইত্যাদি শাখায় চাকরি করতেন। গত দুই তিন বছর আগে অবসরে যান মোতালেব। খাদা চারঘাট এলাকার বাসিন্দা মোতালেব এর পূর্ব পরিচিত আব্দুল আউয়াল বলেন গত ১৭ বছর ধরে মোতালেব হোসেন চার ঘাটে এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মোতালেব খাদা এলাকার একদল মুসল্লির সাথে চরমোনাই মাহফিলে যান। সেখান থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফিরে আসেন।
ওই রাতে পতাক্ষদর্শী চারঘাট এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি একটি ইজিবাইক থেকে ঘাট এলাকায় নামে সেখানে তার সাথে কথা হয়। কিন্তু তাকে সেই সময় অসংলগ্ন কথা কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বাড়ির রাস্তা চেনে নাই। তরিকুল তাকে পথ দেখিয়ে দেয়। ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত থেকে মোতালেব নিখোঁজ হয়।
তার দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর ধরে তার বাড়িতে মোতালেব থাকেন। মাঝে মধ্যে প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের বাড়িতে বেড়াতে যান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চরমোনাই যাওয়ার পর তিনি নিখোঁজ। লোকমুখে শুনে হাউ মাউ কান্নাকাটি করে মৃতদেহ দেখে তার স্বামীর মোতালেবের লাশ সনাক্ত করে পিয়ারা বেগম। এছাড়া স্থানীয় আউয়াল হাওলাদার, তরিকুল সহ অনেকেই মোতালেবকে সনাক্ত করে। তবে কিভাবে মোতালেবের মৃত্যু হল এ বিষয়টি কিছুটা রহস্য রয়ে গেল।
শরণখোলা থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ খাল থেকে উদ্ধার করে সরলখোলা থানায় নিয়ে আসেন। তিনি বলেন স্থানীয় লোকজন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সনাক্ত করেছে এটি মোতালেব এর মৃত্যু দেহ। তবে পুরাই বিষয়টি জানার জন্য মৃতদেহের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন করা হবে।
মোতালেব এর শ্যালক সাখাওয়াত ফকির বলেন, তার ভগ্নিপতি অত্যন্ত সহজ প্রকৃতির লোক ছিলেন কিভাবে ঘটনা ঘটলো তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে পরিবারে পক্ষ থেকে কোন সন্দেহ করেন নি তারা।
শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, এলাকাবাসী মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে তার নিকট আত্মীয়রা জানান তিনি হার্টের রোগী ছিলেন। হয়ত বাড়িতে যাওয়ার পথে কোনভাবে খালে পড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেটি জানার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের পোস্ট মডেম রিপোর্টে করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা একটি ও টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :