Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

জাজিরায় ট্রাক অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ৬


দৈনিক পরিবার | শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম জাজিরায় ট্রাক অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ৬

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত এলাকায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টায় চলন্ত এলপি গ্যাস বোঝাই ট্রাকের পেছন দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা দিলে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ ৬ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসন জানান, আমাদের এখানে মরদেহের সুরত হাল শেষে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। তারা হলেন, খুলনা জেলার ধঘলিয়া থানার চান্দনি গ্রামের মো. কাউছার হাওলাদারের ছেলে অ্যাম্বুলেন্স চালক রবিউল ইসলাম (২৯), মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার মোস্তফাপুর গ্রামের হিরু মৃধার ছেলে হেলপার জিলানি (২৮),  পটুয়াখালীর বাউফল থানার কারখানা গ্রামের লতিফ মোল্লার স্ত্রী ক্যান্সার রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), জাহানারার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (২৮), পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার আদমপুর গ্রামের রাজ্জাক মল্লিকের পুত্র ফজলে রাব্বি (২৮) ও বরিশাল জেলার আগৈলঝরা থানার বাসাইল গ্রামের সোবাহান মৃধার পুত্র দৈনিক নবচেতনার বরিশাল ব্যুরো চীফ মো. মাসুদ রানা (৩৮)।
শরীয়তপুর ফারয়ার সার্ভিসের ডি এডি মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের শরীয়তপুরের দুইটি টিম ও জাজিরার একটিম ঘটনা স্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করি। সেখানে একটি এলপি গ্যাস বোঝাই ট্রাকের পেছনে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে দুমরে মুচরে যায়। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরের ৬ জনই নিহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের পেছনের ৪ জনকে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করতে পারলেও র‌্যাকারবিন ব্যবহার করে পরবর্তীতে সামনের দিকের দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি। এর মধ্যে দুই জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা প্রত্যেকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ ও আলোচনা করে মরদেহ হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জাজিরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে দশ হাজার টাকা করে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালক রবিউল ইসলামের পরিবারের কাছে মরদেহ ও দশ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

Side banner