Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

নওগাঁ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, পাওয়া গেল অনিয়ম


দৈনিক পরিবার | নওগাঁ প্রতিনিধি জুন ১৮, ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম নওগাঁ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, পাওয়া গেল অনিয়ম

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। বুধবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা। এ সময় রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতারা। সেইসঙ্গে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
নওগাঁ সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে আসা সুমি আক্তার বলেন, হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি ৫ দিন হচ্ছে এখনও খাবার পাই নাই। আমাদের বাড়ি দূরে হওয়ায় হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। যারা খাবার বিতরণ করতে আসে তারা দেখে দেখে খাবার দেয়। সবাইকে খাবার দেয় না। দুদকের এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা হলে হাসপাতালগুলোর দুর্নীতি কমে আসবে।
নওগাঁর কানমটকা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। গত ৩ আগে ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। গত ৩ দিনে কোনো খাবার পাইনি। আজকে সকালে একটা কলা, রুটি এবং ডিম দিয়েছে। তাছাড়া সব খাবার বাইর থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। ডাক্তারারও আমাদেরকে সময় মতো ভিজিট করতে আসে না।
অভিযানের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁর উপসহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, হাসপাতালে বরাদ্দের চেয়ে কম খাবার পরিবেশন, ওষুধ কালোবাজারি, হাসপাতালের সরকারি টেন্ডারে বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া এবং চিকিৎসকদের সময় মতো না আসা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে খাবারে অনিয়ম এবং চিকিৎসকদের সময় মতো না আসার প্রমাণ মিলেছে। সরকারি টেন্ডারের কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্রগুলো পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠানো হবে। 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, দুদক কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। আমাদের এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা হলেও এখনও বরাদ্দ আসে ১০০ শয্যার। যার কারণে সব রোগীকে আমাদের পক্ষে খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। ডাক্তারদের সময় মতো না আসার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে উনারা যে নির্দেশনা দিয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Side banner