Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

অনিয়মে ধসে যাওয়া সেতুতে সাত বছর ধরে ভোগান্তি স্থানীয়দের 


দৈনিক পরিবার | বিপুল মিয়া নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম অনিয়মে ধসে যাওয়া সেতুতে সাত বছর ধরে ভোগান্তি স্থানীয়দের 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পশ্চিম ধনিরাম এলাকায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত একটি সেতু নির্মাণের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ধসে পড়ে। এতে সরকারের প্রায় ৩১ লাখ টাকা অপচয় হয়েছে। সাত বছর পার হলেও সেতুটি পুননির্মাণ না হওয়ায় আজও চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয়রা।
পশ্চিম ধনিরাম আবাসন সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে অস্থায়ী ড্রামের ভেলায় পারাপার করছেন। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও কর্মজীবী মানুষের যাতায়াতে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয় কুটিবাড়ী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সেলিনা খাতুন ও সুমাইয়া খাতুন বলেন, ভেলায় করে স্কুলে যাওয়া কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝে মাঝে পড়ে যাই, বইপত্র ভিজে যায়। বন্যার সময় তো আমরা খালের ওপারের শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যেতেই পারি না।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী, কোরবান আলী, জাদু মিয়া বলেন, ব্রিজটা ভাঙার পর থেকে বহু বছর হয়ে গেল, কেউ নতুন করে বানানোর উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিদিন ড্রামের ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। ভেলায় পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহজালাল নামের আরেক জন বলেন, খাল পারাপারে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আমাদের আনন্দের সীমা ছিলনা। কিন্তু আমাদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সেতুটি নির্মাণের পর মাত্র তিন মাস যেতে না যেতেই এটি ভেঙে গেছে। সেই থেকে খাল পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের ভোগান্তি বিবেচনা করে নতুন সেতু নির্মাণ করা হোক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলা জানান, খালের উপর নির্মিত সেতু ধসে পড়ার পর দুই প্রান্তের মাটিও ধসে গেছে। ফলে খালের প্রশস্থতা আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে নকশা অনুযায়ী নতুন সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান বলেন, আগের সেতুটি দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের প্রকল্পে নির্মিত হয়েছিল। ওই রাস্তাটির কোনো সরকারি আইডি না থাকায় নতুন করে সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না।

Side banner