গাইবান্ধায় প্রতিদিনই বেহাত হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জায়গা। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বামনডাঙ্গা, নলডাঙ্গা, কামারপাড়া, কূপতলা, ত্রিমোহিনী, বাদিয়াখালি ও গাইবান্ধায় রেলওয়ের অনেক জায়গাই ইতোমধ্যেই দখল হয়ে গেছে। অনেকেই অবৈধভাবে জায়গা দখল করে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করে ভোগ করছেন। গত সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রেলের জায়গা বেশি দখল করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো উদ্ধারের কোনো চেষ্টাই করেনি কর্তৃপক্ষ।
গাইবান্ধায় রেলওয়ের আমিন আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় এখনও স্টেশনের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে অনেকে প্রায় প্রতিদিন জায়গা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, যারা আগে যে পরিমাণ জায়গা ব্যবহারের লাইসেন্স পেয়েছেন, তারা সেই জায়গার পাশের জায়গাটুকুও দখল করে নিজেদের আয়ত্বে নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা শহরের ১ নং ও ২ নং রেলগেট এলাকার রাতের আঁধারে এই দখল কার্যক্রম চলছে। ১ নং রেলগেট এলাকায় জায়গা দখল করে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, কেউ কেউ ঘিরা দিয়ে রেখেছেন।
আমিন আব্দুর রাজ্জাক টাকা নিয়ে জায়গা দখলের অনুমতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আমিন আব্দুর রাজ্জাক এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা নেয়ার অভিযোগ সত্য নয়, দুএকদিনের মধ্যে জায়গা মেপে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।








































আপনার মতামত লিখুন :