গাজীপুরের টঙ্গীতে সমপর্ণ বিল্ডার্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রভাষক মো. মোবারক করিম উপরে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা করেন গিয়াস উদ্দিন গং, এমন অভিযোগ উঠেছে। প্রভাষক মোবারক করিমের সাথে গিয়াস উদ্দিনের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিলো। স্থানীয় কাউন্সিলর এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হচ্ছে। গত ঈদের পূর্বে কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিল গিয়াসউদ্দিনকে। সাময়িক সমস্যার কারণে টাকা দিতে পারেননি ভুক্তভোগী প্রভাষক মোবারক করিম। ফলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। গত ২৬ শে এপ্রিল গাজীপুরের কাজী বাড়ি এলাকায় মোবারক হোসেন নির্মানাধীন ভবনের সামনে শ্রমিকদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে কিছু না বোঝার আগেই মোবারক করিম উপর অতর্কিত হামলা চালায় গিয়াস উদ্দিন গং। একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ও ব্যবসায়ীর উপরে এমন ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়াস উদ্দিন গংদের বিচার দাবি এবং মানববন্ধন করেন।
শিক্ষকের উপর দিনে দুপুরের সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা থেকে বাঁচতে একটি কুচক্রী মহলে ইন্ধনে গিয়াস উদ্দিন গংরা শনিবার সকালে টঙ্গী এলাকায় উল্টো প্রভাষক মোবারক করিম বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে গ্রামবাসী ও সুশীল সমাজের লোকজন আরো ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হামলা শিকার প্রভাষক মোবারক করিম সাংবাদিকদের বলেন, আমি শিক্ষক থাকা অবস্থায় কোনো দিন কোনো শিক্ষার্থীদের উপর হাত তুলিনি। কারো গায়ে হাত তোলা আমি পছন্দ করিনি। কিন্তু আজ সেটা আমার উপর হয়েছে। আমি একজন নিরীহ মানুষ। বর্তমানে ছোটখাটো ব্যবসা করি। দীর্ঘদিন যাবৎ গিয়াস উদ্দিনের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন থাকায় একটু মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এর সূত্র ধরে গত ২৬ এপ্রিল তারা আমার উপর হামলা করে এবং তারা নিজেকে বাঁচাতে আজকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে। আমি মনে করবো তারা আমার মানসম্মান নষ্ট করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগে করার জন্য মুঠোফোনের রিং দিলে ব্যস্ততা দেখিয়ে কেটে দেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :