পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় কয়েকদিনের লাগাতার তাপদাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। তীব্র গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। তীব্র তাপদাহে ও গরমে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। জ্যৈষ্ঠ মাস আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির হওয়ার কথা বললেও এলাকায় বৃষ্টির দেখা নেই। এছাড়া ঘন ঘন বিদ্যুৎ এর লোড শেডিং এর কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। উপজেলার সদর ৫০ শয্যা হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ডায়রিয়া সহ গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের রোগি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তাপদহের কারণে কৃষি শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। এতে করে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। খড়তাপে ঘাষ মড়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র তাপদাহে কারণে মৌসুমী জ্বর, সর্দি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার ফার্মেসিগুলিতে প্যারাসিটামল, এলার্জি জাতীয় ওষুধ, ওর স্যালাইন টেস্টি স্যালাইন, গ্লুকোজ ওষুধ বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচণ্ড গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প ও কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রচণ্ড তাপদাহে বেকে যাচ্ছে রেল লাইন। ফলে ঝুকি নিয়ে চলছে ট্রেন। এছাড়াও ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন ট্রেনের সিডিউল বিপর্য়য়ের কারণে ট্রেন বিলম্বে চলাচল করায় যাত্রী সাধারন চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নীলসাগন, পঞ্চগর থেকে আন্তঃনগর একতা, দ্রতযান, রংপুর থেকে রংপুর এক্্রপ্রেস, কুড়িগ্রাম থেকে কুড়িগ্রাম এক্্রপ্রেস, সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর রুপসা, সীমান্ত, রাজশাহী থেকে নীলফামারীগামী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্্রপ্রেস, নীলফামারী থেকে রাজশাহী গামী আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্্রপ্রেস সহ প্রায় সবগুলো ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে চলাচল করছে। এতে যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। খড়তাপের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ট্রেনের জন্য স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে করতে শারীরিক ভাবে অনেক যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
সান্তাহার চা বাগান এলাকার মাহবুবুর রহমান রেন্টু বলেন, দুপুর ২টার লালমনি এক্্রপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যায় এসেছে, এতে আমি ছেলে নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। সান্তাহার পৌর এলাকার ৫ নম্বও ওর্য়াডের কুয়েল বলেন কুড়িগ্রাম ট্রেন যখন সান্তাহার জংশন স্টেশনে আসার সময় সেসময় ট্রেনটি কুড়িগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়েনি।
আপনার মতামত লিখুন :