Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

টলিউডে ঝড় তুলেছে নতুন ‘আইটেম গার্ল’ সুস্মিতা


দৈনিক পরিবার | বিনোদন প্রতিবেদক মে ৩০, ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম টলিউডে ঝড় তুলেছে নতুন ‘আইটেম গার্ল’ সুস্মিতা

রহস্য-রোমাঞ্চে মোড়া থ্রিলার ছবি। আর গুরুগম্ভীর বিষয়কে হালকা করতে খানিক মুচমুচে রঙিন গান থাকবে না? সূদুর মায়ানগরী থেকে ঝকমারি আইটেম গানের চল এখন টলিপাড়াতেও। কিন্তু সেই গানে লাস্যময়ী অবতারে ধরা দেবেন কে? সেই কৌতূহল বরাবর দর্শকদের মনে বিরাজ করে। মালাইকা অরোরা, নোরা ফতেহিরা যদি বলিউডের ‘গর্ব’ হন, তাহলে টলিউডও ‘বুক বাজিয়ে’ পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানদের নাম নিতে পারে। এবার সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়।
অভিরূপ ঘোষ পরিচালিত ‘মৃগয়া’ ছবিতে ‘দুষ্টু’ আইটেম গার্ল-এর ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউডের এই মিষ্টি নায়িকাকে। সুস্মিতা অবশ্য দিন কয়েক আগেই আইটেম গার্ল অবতারে ছবি দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। এবার ‘শোর মাচা’ গানের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ঘায়েল ভক্তরা! পান্না সবুজ রঙের সিক্যুইন ব্রালেট। লম্বা ঝুলের স্কার্ট থেকে উঁকি দিচ্ছে উন্মুক্ত ঊরু। সুস্মিতার শরীরী হিল্লোল যেন চাবুক মারছে নেটপাড়ায়। গল্পে অবশ্য এই আইটেম নম্বরের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পরিচালক অভিরূপ জানালেন, যেহেতু কলকাতার মার্ডারমিস্ট্রির সমাধান হচ্ছে মির্জাপুরে, তাই সিনেমার দ্বিতীয়ভাগের গল্প উত্তরপ্রদেশের প্রেক্ষাপটে। আর সেখানকার এক মেলাতেই দেখা যাবে ‘শোর মাচা’ গানটি। যেখানে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সংস্কৃতির কিয়দংশ ফুটে উঠবে।
রানা মজুমদারের সুরে ‘শোর মাচা’ গানটি গেয়েছেন সুনীধি চৌহান। আর কোরিওগ্রাফের নেপথ্যে পঙ্কজ। পরিচালক নিজেই জানালেন, শীতকালে বানতলায় এই মেলার সিকোয়েন্স শুট করা হয়েছে। এই নাচের দৃশ্য বাস্তবায়িত করতে বেশ কসরতও করেছেন সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। এর আগে অভিনেত্রীকে এমন অবতারে দেখেননি দর্শক, তাই ‘শোর মাচা’ আইটেম নম্বরটি যে বাংলার পর্দায় ঝড় তুলে দেবে, তা নিয়ে আশাবাদী অভিরূপ ঘোষ। এই পুলিশি ঘরানার থ্রিলার ছবিতে দেখা যাবে ঋত্বিক চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং রিজওয়ান রব্বানি শেখকে। আর গায়ে কাঁটা ধরিয়ে দেওয়া খলচরিত্রে দেখা যাবে সৌরভ দাসকে। কলকাতা পুলিশে কর্মরত আধিকারিক দেবাশিস দত্তের সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে ‘মৃগয়া’র গল্প।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবির গল্পকার বর্তমান মানিকতলা থানার ওসি দেবাশিস দত্ত, তৎকালীন বড়তলা থানার ওসি হিসাবে যিনি ছিলেন অসমসাহসী অভিযানের টিম লিডার। ছবির ঘটনাক্রম শুরু বড়তলা থানার অধিনস্ত উত্তর কলকাতার অতি পরিচিত এক যৌনপল্লি। যেখানে বিবাদের জেরে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে দুই ভিনপ্রদেশের যুবকের হাতে খুন হয়েছিল এক যৌনকর্মী। খুনের পরই কলকাতা ছেড়ে পালায় দুই অপরাধী। নিষিদ্ধ পল্লীতে খুন-জখম খুব একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। পুলিশ আসে। তদন্ত হয়। অপরাধী ধরা পড়ে বা পড়ে না। আস্তে আস্তে সে কথা মানুষ ভুলেও যায়। স্বাভাবিকভাবেই সবার ধারণা ছিল, এই খুনও হয়তো বিস্মৃতির খাতায় চলে যাবে একদিন। কিন্তু স্থানীয় থানারা বড়বাবু দেবাশিস দত্তের ভাবনা বয়েছিল অন্যখাতে। পণ করেছিলেন, ভিন প্রদেশ থেকে তাঁর এলাকায় এসে এহেন দুঃসাহসের শেষ দেখে ছাড়বেন। থানার বেশ কয়েকজন আধিকারিককে সঙ্গে নেমে পড়লেন তদন্তে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমেই জানা গিয়েছিল, দুই খুনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। সম্ভবত সেখানেই পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে তারা। ঠিক হল, খুনিকে পাকড়াও করতে যাওয়া হবে উত্তর প্রদেশে। কলকাতা পুলিশের সেইন রূদ্ধশ্বাস অভিযানের গল্প এবার বড়পর্দায় দেখা যাবে ‘মৃগয়া’ ছবিতে।

Side banner