রাজশাহীতে এবার স্মরণকালের বড় জনসভা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথা জানান।
আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন পেশাজীবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
সভায় রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এই বছরটি উদ্বোধনের বছর। একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলও উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পাবনার রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হবে এই বছরেই। প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, যার সুফল মানুষ পাচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করেছে, তাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার সরকার যেটি বলে, সেটি বাস্তবায়ন করেন।
মেয়র লিটন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন। সারাদেশের মতো রাজশাহীর সব উন্নয়নের অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়নে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীকে সাজানো হচ্ছে। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। মহানগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, বিকেএসপিসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার কাজও এগিয়ে চলেছে। এভাবেই রাজশাহী এগিয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সভা-সমাবেশ ও প্রচার মিছিল করা হয়েছে। সব জায়গায় আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ হবে, মানুষের কাছে জনসভাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সভামঞ্চে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রোজেটি নাজনীন, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুনবী নবী অনু।
সভায় বিভিন্ন পেশাজীবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা জনসভায় সফল করতে ও রাজশাহীর উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :