Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

সংগ্রামী শতবর্ষী ফজিলাতুন্নেছার কাছে ছুটে গেলেন ডিসি


দৈনিক পরিবার | নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম সংগ্রামী শতবর্ষী ফজিলাতুন্নেছার কাছে ছুটে গেলেন ডিসি

বয়স একশোর কোটায়। শরীর ন্যুব্জ। চোখে-মুখে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তবুও জীবনের কাছে হার মানতে নারাজ ফজিলাতুন্নেছা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার সংলগ্ন দোয়েল প্লাজার একপাশে বসে অল্প কিছু আমড়া আর জাম্বুরা বিক্রি করেন তিনি। দিন শেষে আয় হয় তিন থেকে চারশ টাকা। কখনো হয় তারও কম। সেই টাকাতেই চলছে তার একাকী জীবনযাপন।
জীবন সংগ্রামে অপরাজেয় এই নারীর খবর মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জানতে পারেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। খবর পেয়ে তিনি সরেজমিনে গিয়ে শতবর্ষী ফজিলাতুন্নেছার হাতে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা তুলে দেন।
সহায়তা প্রদানের সময় জেলা প্রশাসক বলেন, শতবর্ষী ফজিলাতুন্নেছা আমাদের জন্য প্রেরণা। বয়সের বাধা অতিক্রম করে নিজের সম্মান ধরে রেখে জীবিকা অর্জন করছেন তিনি। কারও কাছে হাত পাতেননি, বরং কর্মের মাধ্যমে জীবন চালাচ্ছেন এটি সবার জন্যই অনুসরণীয়।
তিনি জানান, দ্রুততম সময়ে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ফজিলাতুন্নেছার জন্য বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম চালু করা হবে। পাশাপাশি তার মতো সংগ্রামী মানুষদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হবে। 
উপহার সামগ্রী হাতে পেয়ে শতবর্ষী বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছা বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, আমি ভিক্ষা চাই না। ভিক্ষা নয়, কর্ম করেই জীবন চালাবো। নিজের পরিশ্রমেই নিজের ভাত রুজি করবো।
জানা যায়, ফজিলাতুন্নেছার ভাইবোন কিংবা সন্তান কেউ নেই। জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে তিনি এখন সম্পূর্ণ একা। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার মঞ্জু আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। জীবনের এই দীর্ঘ লড়াই তাকে ক্লান্ত করেনি, বরং করেছে আরও দৃঢ়চেতা।
সহায়তা প্রদানের সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাইমা ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার, শহর কার্যালয়ের অফিসার এ কে এম সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Side banner