মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় হত্যা মামলার এক আসামিকে আটকের পর তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দেখে আসামি পালিয়েছেন বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চরপানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সিরাজদিখান থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক।
পলাতক আবুল হোসেন ওরফে পুড়া আবুল ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১৫ সালে এক শিশু হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি চরপানিয়া গ্রামের কুটু মিয়াগংদের সঙ্গে আবুলগংদের সম্পত্তি নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি মীমাংসা করতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে চরপনিয়া গ্রামের আব্বাস আলী মাতবরের বাড়িতে সালিশ বসে। সেখানে আবুলও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সিরাজদিখান থানার এসআই মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত পুলিশ সদস্য আসামি আবুলকে আটক করেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের হাত থেকে আবুলকে ছিনিয়ে নেন স্বজনরা।
সালিশে সভাপতিত্ব করছিলেন বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে শ্যামলি নামের এক শিশু খুন হয়। সেই খুনের মামলার আসামি আবুল। বিচার চলাকালে হঠাৎ করে পুলিশ এসে আবুলকে আটক করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবুলের স্বজনরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন বলেন, আবুল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক আছেন। বিচারে আসবে তাও আমরা জানি না। বিচারের মাঝ পথে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে আবুলকে ছিনিয়ে নেয় স্বজনরা।
এসআই কামরুজ্জামান বলেন, গোপন খবর পেয়ে আমরা আবুলের অবস্থান জানতে পারি। তবে অনেক লোকজন থাকার কারণে তাকে আটক করতে পারি নাই। আবুল আমাদের দেখে পালিয়ে গেছে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি আবুল পালিয়ে গেছে বলে দাবি ওসি আবু বকর সিদ্দিকের।
আপনার মতামত লিখুন :