বগুড়ায় ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় শাকিল আহম্মেদ (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামের (৪২) বিরুদ্ধে। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর নয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জিতু ও তার সহযোগী মতিকে আটক করেছে।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশা চালক শাকিল আহম্মেদ বগুড়া শহরের শিববাড়ি শাহী মসজিদ লেনের মৃত হানিফের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রানা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। একই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিতু তার (শাকিল) কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। শাকিল এতে রাজি না থাকায় তার সঙ্গে জিতুর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শনিবার দুপুরের আগে জিতুর সাথে শাকিলের হাতাহাতি হয়।
একপর্যায়ে শাকিল ছুরিকাঘাত করলে জিতুর হাত কেটে যায়। বিকেল ৩টার দিকে শাকিল বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। এ সময় জিতুর নেতৃত্বে তার সহযোগী মতি, মোমিদুল, বিপ্লব, সুমন প্রমুখ শালিকের ভাড়া বাড়িতে আসেন। তারা মারপিট না করার আশ্বাস দিয়ে শাকিলকে ধরে ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর নয়াঘাট এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে তারা শাকিলকে ব্যাপক মারধর করে ফেলে যান।
স্থানীয়রা শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল জিতুর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিতু বগুড়া জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বসির জানান, হত্যায় জড়িত থাকায় জিতু ও তার সহযোগী মতিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে তাদের অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :