Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মা ভাইয়ের সামনে বাংলাদেশি যুবককে হত্যা


দৈনিক পরিবার | আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ৬, ২০২৪, ০৮:২৫ এএম মা ভাইয়ের সামনে বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

হত্যাকাণ্ডের ৩৬ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মা ও ভাইয়ের সামনে বাংলাদেশি ১৯ বছরের তরুণ উইন রোজারিওকে গুলি করে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মে) নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস গত ২৭ মার্চ ওই হত্যাকাণ্ডের পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন। খবর এবিসি নিউজের।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করেন উইন রোজারিও। এতে তার মা ও ভাই জরুরি হেল্পলাইন ৯১১-এ ফোন করে পুলিশের সহয়তা চান। বেলা আড়াইটা পুলিশের দুই সদস্য উইনদের নিজ ফ্লাটে এসে তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। চেষ্টার এক পর্যায়ে টেজার গান ছোঁড়া হয়। সে সময়ে উইনের মা তাকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি জানান গুলি না করার জন্য। তখন মানসিক ভারসাম্যহীন উইন আতঙ্কে চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ-মাংস কাটার ছুরি নিয়ে পুলিশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর গুলি চালান কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় উইনের পরিবারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এক মাসের বেশি আগে উইনকে হারিয়েছি আমরা। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ তার শূন্যতা গভীর বেদনার সঙ্গে অনুভব করছি। নিদারুণ এই কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এ ভিডিও জনসম্মুখে প্রকাশের প্রয়োজন নেই। যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে তাতে পুরোপরি স্পষ্ট যে উইনের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের রান্নাঘরে তাকে হত্যা করল। আমাদের এবং উইনের সুরক্ষার পরিবর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা উইনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় গুলি করার মত পরিস্থিতি তৈরি করলেন। তাই আমরা চাইছি, এ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হোক এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’
নিউ ইয়র্কের জাস্টিস কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক লইডা কলোন বলেন, ভিডিওগুলো খুবই কষ্টদায়ক এবং তা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার শামিল। উইনকে গুলি করার বিষয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশ যে বক্তব্য দিয়েছিল, তার সঙ্গে ভিডিওর কোনো মিল নেই। মুহূর্তের মধ্যে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় উইনকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ এ ঘটনার পর থেকেই উইনের পরিবার ও বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তা দেখাইনি। ফলে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল তা প্রকাশ করেন।

Side banner