বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাবনার চাটমোহর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ওরফে মিমোকে (৩৮) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। এ ঘটনা বগুড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি মোজাম্মেল হক জানান, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ মিমো কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত থাকার সময় প্রতিবেশী এক তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তরুণী প্রথমে রাজি না হলেও তিনি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল কাহালুর বাটালদীঘিতে শ্মশানঘরের পাশের একটি বাড়িতে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে মামুনুর রশিদ তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল কাহালু থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর থেকে মামুনুর রশিদ মিমো আত্মগোপনে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামুনুর রশিদ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানিয়েছেন, আদালতের আদেশে বিকেলে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :