চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত মন্টু মিয়া হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বারুইপাড়ার মৃত তোয়াক্কেল মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৭), একই পাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আসান ওরফে তোতা মিয়া (৪৬), জয়রামপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার লাল চাঁদ মণ্ডলের ছেলে বাবু (৪৬) ও মল্লিকপাড়ার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৯)। এর মধ্যে আসান ওরফে তোতা মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন দিনমজুর মন্টু মিয়া (৩০)। হঠাৎ ৫ থেকে ৬ জন সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর নিহতের মা হাজেরা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুর রহমান একই বছরের ৩০ নভেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলার অন্যতম আসামি জয়রামপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার মফিজ বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন কিছুদিন আগে মারা যান। ফলে মামলার ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত চার আসামির বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার পর আদালত মামলার নথি নিষ্পত্তি করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :