দীর্ঘদিন যাবৎ বিআইডব্লিউটিএর তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নূরনবী পনিরের নেতৃত্বে একটি সংজ্ঞবদ্ধ প্রতারক চক্র রেটকোড জালিয়াতি এবং নানাভাবে সাধারণ ঠিকাদারসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী ঠিকাদার কামরুজ্জামান জানান, তাকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিবে বলে ভূয়া রেটকোড দিয়ে নূরনবী পনির তার স্ত্রী সখিনা আক্তার অগ্রণী ব্যাংক কর্ণেলহাট শাখার একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা নেয় এবং তিন কোটি পঁচিশ লক্ষ বার হাজার টাকার দুইটি চেক নেয়। কিন্তু কাজ না পেয়ে ১৫ লক্ষ টাকা ও চেক ফেরত চাইলে নূরনবী পনির টাকাও চেক ফেরত না দিয়ে তার স্ত্রী সখিনা আক্তারকে দিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে এন আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করে।
এদিকে ভূক্তভোগী ঠিকাদার কামরুজ্জামানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্ত করা বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারী নূরনবী পনির পলাতক হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় জিডি এন্ট্রি করেছে এবং তিনটি বিভাগীয় মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
ঢাকার সিএমএম আদালতের নির্দেশে প্রতারণা ও আত্মসাৎ এর অভিযোগে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করছে পিবিআই। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় নূরনবী পনিরের প্রতারণার টাকার ভাগ উপর থেকে নীচ পর্যন্ত অনেকেই পেয়ে থাকেন। নূরনবী পনিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নূরনবী পনিরের স্ত্রী সখিনা আক্তার তার প্রতারণার চক্রের প্রধান সহযোগী। এই চক্রে আরও রয়েছে বিআইডব্লিউটিএর মান্নান ড্রাইভার, এ হাসান ফারুকী, জিয়াউল করিম রানা, এইচ এম আরাফাত উদ্দিন ভূঁইয়া সহ আরও অনেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :