Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
চার জঙ্গির আত্মসমর্পণ

মায়ের আকুতিতে সাড়া


দৈনিক পরিবার | নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৯, ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম মায়ের আকুতিতে সাড়া

মায়ের আকুতিতে সাড়া দিয়ে অবশেষে র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন পালিয়ে যাওয়া চার জঙ্গি। জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর ভুল বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার এই চার সদস্যের একজনের বয়স ১৬ বছর, অন্য তিনজন হলেন হাসান সাইদ (২৬), শেখ আহমেদ মামুন (২৩) ও মো. ইয়াছিন (২১)। এই চার জঙ্গি মঙ্গলবার র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেন। র‌্যাব জানায়, পাহাড় থেকে তারা একাধিকবার পালানোর চেষ্টা করেও পারেনি। ফিরে আসা চারজনই প্রাথমিকভাবে জানান, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়েই নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়’তে যোগ দেন তারা। পরবর্তীত এই সংগঠন তাদের হিজরতের কথা বলে ও চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী করে। এক সময় পার্বত্য অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর সহযোগিতায় এই জঙ্গি সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম দেখে তাদের ভুল ভাঙে। ভুল বুঝতে পেরে পরিবারের কাছে ফিরতে চেয়েছিলেন তারা চারজন। কেউ কেউ দুই দফা পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
র‌্যাব জানায়, শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের নির্দেশে ওই চারজনকে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। পাহাড়ে র‌্যাবের অভিযান শুরু হলে সুযোগ বুঝে তারা অন্য জঙ্গিদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে আসেন। এরপর মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করেন র‌্যাব-১১ এর নারায়ণগঞ্জ ব্যাটালিয়নে।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ওই চারজন বিভিন্ন সময়ে পরিচিতজনের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াতে যোগ দেন। পরে জঙ্গি সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা তাদের ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে কথিত হিজরতের কথা বলে পাহাড়ে যেতে আগ্রহী করে। পার্বত্য অঞ্চলে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সহযোগিতায় সংগঠনটির সশস্ত্র প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম ও চিন্তাভাবনা দেখে তাদের ভুল ভাঙে। পরে ওই চারজনসহ বেশ কিছু সদস্য সমতলে ফিরতে চাইলেও তাঁদের বন্দী রেখে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে তাদের জোর করে রসদ পরিবহন, রান্নাবান্না, প্রশিক্ষণের গর্ত করা, ঘর বানানোসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হতো।
বিভিন্ন সময়ে র‌্যাবের কাছ থেকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ ও ভুল বুঝতে পারা জঙ্গিদের আইনগত সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি তারা জানতে পারে। তারা সমতলে এসে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে র‌্যাবের কাছে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয় তাদের পরিবার। সেই পরামর্শেই তারা র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

 

Side banner