নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি কমিশন নোয়াখালীর উপ-সহকারী পরিচালক জাহেদ আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে নোয়াখালী দুদক কার্যালয় থেকে সম্পদ বিবরণী ফরম পাঠানো হয়েছিল। নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে তিনি ওই সময়ের মধ্যে বিবরণী জমা দেননি কিংবা সময় বাড়ানোর আবেদনও করেননি। এতে করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তিনি।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান থাকাকালীন (২০১১-২০২১) সময়ে মিজানুর রহমান বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
তদন্তে দেখা যায়, ২০০৯-১০ করবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত তার বৈধ আয়ের পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯১৫ টাকা এবং মোট ব্যয় ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৯৪ টাকা। একই সময়ে তার অর্জিত মোট সম্পদ দাঁড়ায় ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ২১৮ টাকা, যার বিপরীতে ৫২ লাখ ১০ হাজার ৬৭৬ টাকা ঋণ ছিল। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদ (ব্যয়সহ) দাঁড়ায় ২ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার ২৩৬ টাকা। বৈধ আয়ের সঙ্গে এই সম্পদের হিসাব মেলেনি। ফলে ১ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ টাকা জ্ঞাত আয়ের বাইরে পাওয়া যায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি স্বেচ্ছায় নিজের নামে এই সম্পদ স্থানান্তর, রূপান্তর ও ভোগদখল করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বলেন, দুটি মামলাই তদন্তের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। তদন্তে নতুন তথ্য বা অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :