বহুল প্রতীক্ষিত ঈদগাঁওয়ের পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা আসন এবং সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে রয়েছে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায়। ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর পোকখালী, জালালাবাদে এক ধরনের নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০১৬ সাল পরবর্তী দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ঈদগাঁওয়ের পাঁচ ইউনিয়ন সাধারণ নির্বাচন। এতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে রয়েছে আনন্দ। সাধারণ ভোটাররা ৮ বছর পরে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আশায় অপেক্ষা করছেন আগামী ২৮ তারিখের জন্য। তারা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক না থাকায় এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতারাও। বেশ জমজমাট ভাবে চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। নির্বাচন আচরণবিধ মেনে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে চলে নির্বাচনী গানে। সেই গানের তালে তালে সাধারণ ভোটাররা নাচছেন। এর মধ্যে কিছু প্রার্থীরা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে বাজাচ্ছেন মাইক। ফলে এলাকাবাসী অস্বস্তি বোধ করছেন। এলাকাবাসীরা জানান, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮ টার পরও কিছু কিছু প্রার্থীরা মাইক বাজিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রাচারণা ও মিছিল করছেন। ফলে অতিরিক্ত শব্দ দূষণের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ঘুমের। নিয়মিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান পরিচালনা করার দাবি তাদের।
অন্যদিকে প্রার্থীরা রাতের আধারে ভোটারদের দরজার কড়া নাড়ার খবর পাওয়া গেছে। গোপন সুত্র জানান, প্রার্থীরা এবং প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যরাতে ভোটারদের কাছে গিয়ে ফুসলিয়ে নির্ধারিত প্রার্থীকে ভোট ভোট প্রদান করার জন্য ওয়াদাবদ্ধ করার পাশাপাশি টাকা প্রাদান করছেন।
এদিকে গত ১৮ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী ইউনিয়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৭ প্রার্থীকে ভিন্ন ভিন্ন অংকের মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার কারণে। এই অভিযান অব্যহত রাখার দাবী সাধারণ ভোটারদের।
আপনার মতামত লিখুন :