কালীগঞ্জে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর হলফ নামায় তথ্য গোপনের অভিযোগের পরেও প্রার্থীর বৈধতার বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন অভিযোগ দাখিলকারী প্রার্থী।
অভিযোগে প্রকাশ, লালমনিরহাট-০২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) সংসদীয় আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. নূরুজ্জামান আহমেদ এমপির পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের দাখিলী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে এবং মনোনয়ন পত্র বাতিলের আবেদন করেন অপর প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে শুনানির পর মনোনয়ন পত্র বাতিলের আবেদন নাকচ করায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাটের নর্থকিং চাইনিজ রেস্টুরেন্টে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদ-এর আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। এ সময় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার দাখিলী হলফনামায় তথ্য গোপন করায় মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবি জানান তিনি এবং সেই মোতাবেক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাকিবুজ্জামান আহমেদ নির্বাচনী হলফনামায় ২০১৩ এর ১৭ এর নির্বাচনী বিধি উপবিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুসারে এর সমর্থনে জমি ক্রয়ের দলিল এবং সরকারী বেতন উত্তোলন গোপন করে তথ্য গোপন করেছেন। যাহা পরিপত্র (৭) এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দাখিলকৃত প্রমাণ ও তথ্যাদি অনুসারে প্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদের মোট জমির পরিমাণ ৪২.২৩ একর, তন্মধ্যে প্রার্থী ১৬.৬৫ একর জমির বিবরণ উল্লেখ করিয়াছেন। অবশিষ্ট ২৫.৫৮ একর জমি যাহার মূল্য ১,৪৬,৮৫,০০০/-(এক কোটি ছেচল্লিশ লক্ষ পচাঁশি হাজার) টাকা যাহা প্রার্থী তাহার দাখিলকৃত হলফনামায় উল্লেখ করেন নাই। প্রার্থী স্বয়ং জ্ঞাত সারে তথ্য গোপন করিয়াছেন এবং তিনি ০১ (এক) বছরের  কলেজ থেকে প্রভাষক পদে প্রাপ্ত ভাতা (সরকারী অংশ) বাবদ ৩,৩৪,৩২৪/-(তিন লক্ষ চৌত্রিশ হাজার তিনশত চব্বিশ) টাকা উত্তোলন করিয়াছেন যাহা প্রার্থী তাহার হলফনামায় উল্লেখ করেন নাই। প্রার্থী জ্ঞাত সারে দাখিলী হলফ নামায় তথ্য গোপন করিয়াছেন। যাহা নির্বাচনী বিধি মালা ২০১৩ (১৭) এর বিধি উপবিধি ৩ এর ধারা মোতাবেক সুনির্দিষ্ট অপরাধ। যাহার ফলে প্রার্থীর দাখিলী মনোনয়ন পত্র বাতিল হইবে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এই অভিযোগ আমলে না নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুজ্জান আহমেদের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করায় সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযোগকারী প্রাথী মাহবুবুজ্জামান বলেন, আমি এবিষয়ে আপিল করবো, কারণ আইন সকলের জন্য সমান হতে হবে। নাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীগণ হলেন রাকিবুজ্জামান আহমেদ, মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, মোঃ তারিকুল ইসলাম তুষার। ৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা হয়। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় পর্যায়ের সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।