কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আছমা খাতুন ছোট বেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে আটকে যায় তার ভর্তির সকল কার্যক্রম। অবশেষে খবর পাওয়ার পর চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাকের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে, নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের (সবুজ পাড়া) এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থী আছমা খাতুন। তিনি আগামীতে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, স্বপ্ন পুরণ করতে চান বাবা, মা ও এলাকাবাসীর। আছমা খাতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না। তখন তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভর্তির সহায়তার জন্য একটি আবেদন করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক আছমা খাতুনকে ডেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তির জন্য নগত ২০ হাজার টাকা হাতে তুলে দেন। এ সময় আছমা খাতুনের মা ছামছুন্নাহার বেগম ইউএনও’র সহযোগিতা পাওয়ায় তিনি আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া আদায় করেন এবং ইউএনও কে ধন্যবাদ জানান ও তার জন্য অনেক দোয়া করেন। ইউএনও’র সহযোগিতা পেয়ে আছমা খাতুন নিজেও অনেক খুশি হয়েছেন।
শিক্ষার্থী আছমা খাতুনের মা বলেন, মেয়ে আমার অনেক কষ্টে করে পড়াশুনা করেছে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইবে শুনলাম আর ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা লাগবে, তখন গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। কোন উপায়ও ছিল না, পরে ইউএনও স্যার জানতে পেরে পুরো টাকাটা দিয়ে আমার মেয়ে ও আমাদের স্বপ্ন পুরণের জন্য সুযোগ করে দিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, শুধু আছমা খাতুন নয় এরকম সম্ভাবনাময় যে শিক্ষার্থীরা রয়েছে অর্থের অভাবে এগিয়ে যেতে পাচ্ছেনা। তাদের সহযোগীতা করা হবে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে শিক্ষার্থী আছমা খাতুনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি সরকার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :