মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর ঢাকাগামী কালনী ট্রেন থামিয়ে একটি হরিণ জবাই করে ট্রেনে তুলতে দেখা গেছে কয়েকজনকে। এ রকম একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনের যাত্রীর ধারণ করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রেনটি উদ্যানের ভেতর কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ও শার্ট পরা দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি হরিণটিকে জবাই করে দ্রুত ট্রেনে উঠছেন। তার পেছনে আরও কয়েকজন জবাই করা হরিণকে নিয়ে ট্রেনে ওঠেন। তবে হরিণ জবাইকারীদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
ট্রেনের যাত্রী আতিকুর রহমান শিবলু বলেন, লাউয়াছড়া উদ্যান এলাকায় হঠাৎ কালনী ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, একটি হরিণ জবাই করে কয়েকজন ট্রেনে নিয়ে আসছেন। এ সময় হরিণ দেখার জন্য ট্রেনের কিছু যাত্রী নেমে পড়েন।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ওই ট্রেন থেকে জবাই করা হরিণটি উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফিউল ইসলাম বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে থামলে ট্রেনের ইঞ্জিন রুমে একটি বস্তা দেখে রেল পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে বস্তাটি খুলে সেখান থেকে জবাই করা হরিণটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য এটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা জবাই করা হরিণ বস্তায় ভরে ট্রেনে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কর্ণ চন্দ্র মল্লিক বলেন, ময়নাতদন্ত করে বুঝতে পেরেছি হরিণটি কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। তবে আঘাত গুরুতর ছিল না। জবাই না করলে হয়তো বেঁচে যেত। বাদামি রঙের এ হরিণের বয়স আনুমানিক দুই বছর।
শ্রীমঙ্গল স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত বলেন, লাউয়াছড়া উদ্যানে ট্রেন কেন থেমেছিল এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে ধরতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃত হরিণটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :