Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লালপুরে ৩১৫ কোটি টাকার কোরবানির পশু বিক্রির আশা


দৈনিক পরিবার | লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি মে ২১, ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম লালপুরে ৩১৫ কোটি টাকার কোরবানির পশু বিক্রির আশা

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে নাটোরের লালপুরে কোরবানির জন্য প্রায় ৭৬ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব পশু দেশের বিভিন্ন জেলার হাটে সরবরাহ করা হবে। এতে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার পশু বিক্রির প্রত্যাশা করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।  
খামারিরা বলছেন, একদিকে যেমন তারা প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে এনেছেন, অন্যদিকে পশু খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে তাদের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। পশুর দাম কমে গেলে লোকসানের শঙ্কায় পড়বেন তারা।
উপজেলার বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়াকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। অনেক খামারে প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে বাঁচাতে ও পরিছন্নতায় খামারিরা মোটরের পানি দিয়ে গোসল পশু গোসল করানো হচ্ছে।
এসময় কথা হয় উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের খামারী মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার খামারে এবার ৮টি গরু প্রস্তুত করেছি। সবগুলোই প্রাকৃতিক খাদ্য ও পরিচর্যায় বড় করেছি। গরমে অনেক কষ্ট হচ্ছে, তবে পশুগুলোর পরিচর্যায় কোনো ত্রুটি রাখছি না। শুধু চাই, হাটে যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম না থাকে।
কেশবপুর গ্রামের আরেক খামারী হেলাল হোসেন বলেন, ঘাস, খৈল, ভুসি, খড় সবকিছুর দাম বেড়েছে। আগে গরুর পেছনে যা খরচ হতো, এখন দ্বিগুণ লেগে যাচ্ছে। বাজারে দাম না থাকলে লোকসান ছাড়া কিছু থাকবে না। তবুও আশায় আছি সরকার যদি সঠিক নজরদারি রাখে, তাহলে আমাদের মতো খামারিরা লাভবান হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এবছর কোরবানির জন্য ৭৬ হাজার ১৭৬টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ষাঁড় ১১ হাজার ৬৩৭, বলদ ৪ হাজার ৭৫৫, গাভী ১ হাজার ৯২২, মহিষ ৫ হাজার ৫৬০, ছাগল ৪৬ হাজার ও ভেড়া ৬ হাজার ২৬৪টি। এছাড়া স্থানীয় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪১ হাজার। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৫ হাজার পশু যা দেশের বিভিন্ন জায়গার চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এবছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটে প্রায় ২০/২৫ হাজার পশু বিক্রির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পশুগুলো বিক্রি করে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাসায়নিক বা ইনজেকশন ব্যবহার প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি চলছে। পশুর হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও মনিটরিং টিম কাজ করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Side banner