Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

লোহাগড়া পৌর শহরে ময়লার ভাগাড়, জনদুর্ভোগ চরমে


দৈনিক পরিবার | রাশেদ রাসু জুন ২২, ২০২৫, ১১:১০ পিএম লোহাগড়া পৌর শহরে ময়লার ভাগাড়, জনদুর্ভোগ চরমে

নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরে নেই কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন। ফলে বাজারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলে গড়ে উঠেছে ভাগাড়। এ অবস্থায় চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
বাজারের কেন্দ্রস্থল লোহাগড়া প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, মুরগি ও মাংস পট্টি, লক্ষীপাশা খাদ্য গুদামের সামনে প্রতিদিনই জমছে ময়লার স্তূপ। এসব স্থানে কয়েক গজ দূরেই রয়েছে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দূষিত পরিবেশের কারণে সেখানে আসা রোগী ও স্বজনদের অবস্থা হয় শ্বাসরুদ্ধকর।
লোহাগড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডজুড়েই দেখা মিলছে একই চিত্র। রাস্তাঘাটের পাশেই রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধে চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব এলাকায় জমে জলকাদা, সৃষ্টি হয় কাদা-পানির স্রোত। ফলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও চরম দুর্ভোগ তৈরি হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
লোহাগড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বাপ্পি বলেন, বাজারের ভেতরে যেভাবে ময়লা জমছে, এতে ব্যবসা করাই দায় হয়ে উঠেছে। দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন না হলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, শুধু পরিবেশ নয়, এসব ময়লা থেকে মশা-মাছি বাড়ছে, ছড়াচ্ছে রোগব্যাধি। পৌর কর্তৃপক্ষ সময় মতো ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে রয়েছে। তবে উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় এখনো কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভা জমি খুঁজছে, আশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ না হলে গোটা পৌর শহর হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যহানিকর বসবাসযোগ্যতা হারানো এক জনপদ।

Side banner