Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

রামপালে অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না অসহায় হালিমা


দৈনিক পরিবার | মো. আকাশ উজ্জামান শেখ জুন ২৮, ২০২৫, ১০:০৫ পিএম রামপালে অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না অসহায় হালিমা

বাগেরহাটের রামপালে অসহায় হালিমা বেগমের শরীরের বাসা বেধেছে একাধিক রোগ। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেনা স্বামী পরিত্যাক্তা হালিমা বেগম (২৭)। তিনি উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের ভোজপাতিয়া গ্রামের মো. জয়নাল শেখের মেয়ে। গত তিন চার বছর যাবত নানাবিধ ছোটখাটো রোগে ভুগতে ভুগতে সম্প্রতি রোগগুলো তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় জানা গেছে রক্ত শূন্যতা, হার্টে সমস্যা, কোমরের হাড় ক্ষয়, শরীর দুর্বল সহ জরায়ুতে ইনফেকশনের মতো কঠিন সমস্যায় জর্জরিত। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন টাকা কিন্তু খেয়ে না খেয়ে দিন কাটানো হালিমার কাছে টাকারই বড্ড অভাব। যার জন্য দিন দিন শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হয়ে এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে যে, দ্রুত চিকিৎসা না নিলে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। কিন্তু তার বলতে নেই। না অর্থকড়ি না স্বামীর ঠাঁই। 
দিশেহারা হালিমা বেগমের ৪-৫ বছর আগে স্বামী খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দিলে ৩ বছরের ছোট্ট একটা কন্যা সন্তান নিয়ে ঠাঁই মেলে বাবার বাড়িতে। পিতা মো. জয়নাল শেখ একজন দিনমজুর, স্ত্রী, অসুস্থ মেয়ে ও ছোট্ট নাতীকে নিয়ে একার রোজগারে খেয়ে না খেয়ে কাটে দিন। তার মধ্যে মেয়ের অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে অসম্ভব প্রায়। 
সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করে জয়নাল শেখ বলেন, আমার বসতি ভিটা ছাড়া জায়গা জমি বলতে কিছুই নাই, দিন আনি দিন খাই, এখন এই অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা করাতে টাকার প্রয়োজন। কিন্তু একার রোজগারে পরিবারের খাবার কিনে অবশিষ্ট অর্থ থাকেনা। এখন চিকিৎসা করানো আমার সামর্থ্যরে বাইরে। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন আমার মেয়েটার চিকিৎসার জন্য একটু সবাই এগিয়ে আসেন। 
হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী আমার এবং আমার মেয়ের খোঁজ খবর নেয়না। আগে কাজকর্ম করে কিছু রোজগার করে নিজে চলতে পারতাম কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন আর কিছু করতে পারিনা। ছোট্ট মেয়ে নিয়ে বাবার এখানে ঠাই নিয়েছি খেয়ে না খেয়ে হলেও দিন চলে যাচ্ছিলো, কিন্তু চিকিৎসা করবো কি দিয়ে? আমার কিছু হলে আমার মেয়েটাকে দেখবে কে? আমি এখন একটু হাঁটাচলা করতে পারিনা, দু পা হাঁটলেই হাঁপিয়ে যাই শরীরের প্রায় অধিকাংশ জায়গায়ই সমস্যা অনুভব করি কিন্তু চিকিৎসা করার মতো কোন উপায় নেই। 

Side banner