Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

পার্বত্য খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টি, পাহাড়ধস ও বন্যার শঙ্কা


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ৯, ২০২৫, ১২:২২ পিএম পার্বত্য খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টি, পাহাড়ধস ও বন্যার শঙ্কা

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার প্রধান নদ-নদী, ছড়া ও খালের পানি দ্রুত বাড়ছে। মাইনী ও চেঙ্গি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু নিচু এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি যদি এমনভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে যে কোনো সময় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার (৯ জুলাই) খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শালবাগান ও আশেপাশের নিচু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চেঙ্গি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। নদীর পানি উপচে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। এতে বেশ কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি ও আঙিনায় পানি ঢোকার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই চেঙ্গি নদীর পানি আমাদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। আগেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। আমরা আতঙ্কে আছি।
দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকার পরিস্থিতিও একই রকম। মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড় মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকার সড়কে ইতোমধ্যে পানি উঠে গেছে। 
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন বলেন, সড়কে পানি উঠলেও এখনো যানবাহন চলাচল করছে। তবে যদি ওপরের দিকে ভারী বৃষ্টি হয়, তাহলে সড়ক পুরোপুরি তলিয়ে যেতে পারে। নিচু এলাকার কিছু ঘরে ইতোমধ্যে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শালবাগান, কলাবাগান ও সবুজবাগ এলাকার শত শত পরিবার। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা এসব পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, শালবাগান, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় ৩-৪ শতাধিক পরিবার পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টির কারণে যেকোনো সময় পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তাদের শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু প্রাইমারি স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত সবাইকে নিরাপদে সরানো যায়।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন কাজ করছেন। উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ সহায়তার প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Side banner