Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

নোয়াখালীতে নামছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ১২, ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম নোয়াখালীতে নামছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

টানা চার দিনের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের পর শুক্রবার (১১ জুলাই) দিনব্যাপী দেশের আকাশে দেখা মেলে ঝলমলে রোদের। তবে জেলার নিম্নাঞ্চল ও শহরের বেশিরভাগ এলাকায় এখনও বন্যার পানি জমে রয়েছে। পানি ধীরগতিতে নামায় জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে।
সরেজমিনে মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, সেন্ট্রাল রোড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রেললাইন-সংলগ্ন এলাকা, মোক্তার মসজিদ, জেলা জজ আদালত সড়ক, ছাবিম মিয়া সড়ক, হাকিম কোয়ার্টার, আল ফারুক একাডেমি ও মেথর পল্লি এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে—এসব এলাকায় এখনো রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি কাজ শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পানি চলাচলের পথগুলো সচল করতে কাজ করছেন। উপজেলাগুলোতে নির্বাহী অফিসারগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

Side banner