Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকারি অনুষ্ঠানে আওয়ামী নেতার অংশগ্রহণ, সমালোচনার ঝড়


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৮:১৯ এএম সরকারি অনুষ্ঠানে আওয়ামী নেতার অংশগ্রহণ, সমালোচনার ঝড়

শেরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাদের সরব উপস্থিতি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনার পর ১ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ওই আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। 
এর আগে, মঙ্গলবার জেলার ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলার কর্মসূচিতে আওয়ামী নেতাদের আসতে দেখা যায়। ঝিনাইগাতী উপজেলা শহীদ সৌরভ চত্বরে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সারোয়ার হোসেনকে। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলার আসামি বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, নকলা উপজেলার ১ নম্বর গণপদ্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান আবুলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়। এ সময় তার পাশে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। বিষয়টি সামনে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। 
এ ঘটনায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঝিনাইগাতী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এখলাছুর রহমান বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে কোনো জাতীয় দিবসে আমন্ত্রণ পাই না, ছবি তোলার সুযোগ তো দূরের কথা। অথচ এখনও প্রশাসনের আশেপাশে আওয়ামী ঘরানার লোকজনকে দেখা যাচ্ছে।
ঘটনার পর ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন। 
এ বিষয়ে নকলা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমান বলেন, আমরা ইউএনওকে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি, ওই ব্যক্তি নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন। অথচ তিনি একাধিক মামলার আসামি এবং কিছুদিন আগেই কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বিষয়টি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আমি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিনতাম না। শহীদ সৌরভের বাবা তাকে নিয়ে এসেছিলেন। আমার অজান্তেই ঘটনাটি ঘটেছে।
একই বিষয়ে নকলা উপজেলার ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি কাউকে আমন্ত্রণ জানাইনি। তিনি নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি ইউএনওকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তিকে চিনতেন না। আর কোনো ব্যক্তি যদি মামলার আসামি হন তাহলে তার গ্রেপ্তার হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শহীদ সৌরভের বাবা সোহরাব আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেন মামাতো-ফুফাতো ভাই বলে ভাতিজার অনুষ্ঠানে সরোয়ারকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছিলেন শহীদ সৌরভের বাবা।

Side banner