ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন সমিলা রানী (৪৫) এবং তার মেয়ে শাপলা রানী (১৮)।
স্থানীয়রা জানান, সমিলা রানী শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। স্বামী জগদীশ চন্দ্র রায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা সংসার করায় তারা একাই বসবাস করতেন। সোমবার বিকেলে এক মাঠকর্মী কিস্তি আদায়ে বাড়িতে গিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। পরে ঘরের ভেতরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রতিবেশীরা আরও জানান, কয়েকদিন ধরে মা-মেয়েকে দেখা যাচ্ছিল না এবং তাদের ঘরের দরজাও ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
ভূল্লী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। দরজা স্পর্শ করতেই বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তার জন্য তারা দরজায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :