কিসামত বালুয়ার নির্মাণাধীন ব্রীজটি সরকারি না বেসরকারি অর্থে জানে না কেউ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়া সর্বগ্রাসী দুর্নীতির ভয়াল কালো থাবায় বিপন্ন আজ মানবসভ্যতা। এই দুর্নীতি প্রতিরোধে বর্তমান সরকার যখন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছে সে সময়ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাইবান্ধায় বরাদ্দের তথ্য গোপন করে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রীজ। অভিযোগ এলাকার সচেতন মহলের।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের কিসামত বালুয়া গ্রামে ছোট্ট একটি খালের উপর নির্মাণ করা হচ্ছে এই ব্রীজ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত রমজানের ঈদে এ খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ঈদের কয়েক দিন পর ব্রীজের অর্ধেক ঢালাই কাজ করার পর থেকে কাজ বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় বের করে রাখা রডগুলোতে মরিচা ধরে ট্যাম্পার অনেকটা কমে গেছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ অবস্থায় বাকী ঢালাই কাজের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এটি সরকারি না বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, এর দৈর্ঘ্য, প্রস্ত কত? কোন অর্থ বছরের, কোন প্রকল্পের কত টাকা বরাদ্দে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে এমন তথ্য সম্বলিত নেই কোন সাইন বোর্ড।
সচেতন মহলের প্রশ্ন, ব্রিজটি মূলত নির্মাণ শুরু করা হয় পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ও জনজীবনের দুর্ভোগ লাঘব এটি তথ্য গোপন করে প্রকল্প কাজে পুকুর চুরির আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা না অন্য কিছু? এও প্রশ্ন উঠেছে, প্রকল্প স্থানে সাইন বোর্ড না থাকায় প্রতিয়মান হয় কাজের তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার তথ্য গোপনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান দীর্ঘদিন হল গাইবান্ধা সদরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করলেও অনলাইনে নেই কোন আপডেট তথ্য। অফিসেও নেই তার সাইনবোর্ড। অনেক সময় অসুস্থতার দোহাই দিয়ে অফিসের বাইরে থাকেন। গাইবান্ধার গুরুত্বপূর্ণ সদর উপজেলার একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে গাইবান্ধায় প্রকল্প তো বাস্তবায়ন তো দূরের কথা ভবিষ্যতে আর কোন প্রকল্প আসবে কিনা সন্ধিহান।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াজুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে কাজ অসমাপ্ত ছিল। সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
আপনার মতামত লিখুন :