জনবল সঙ্কটের মধ্য দিয়েও সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান বেড়েছে। এ অফিসে পাসপোর্ট করার জন্য তালিকাভুক্তিও বেড়েছে অনেকগুণ। ফলে রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। এ অফিসে ৩৬ জনের স্থলে মাত্র ২১ জনকে নিয়ে গ্রাহক সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সক্ষমতার তুলনায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দ্বিগুনের চেয়েও বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনটাই মনে করেছেন সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম।
সিলেট পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। অনেক পুরানো। সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম নানামুখী উদ্যোগে অনেকাংশে কমেছে সেইসব ভোগান্তি আর হয়রানি। দালালদের মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি গ্রাহকরা পাসপোর্ট করতে পারায় দিন দিন বাড়ছে পাসপোর্ট গ্রাহকের সংখ্যা। আর অল্প সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে সন্তুষ্ট গ্রাহকরা।
পর্যাপ্ত জনবল নেই। সেবা প্রার্থীর তুলনায় অর্ধেকেরও কম জনশক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রতিদিন শতশত আবেদন জমা পড়ে। অফিস টাইমের বাইরে গিয়েও রাত ৮/৯টা পর্যন্ত চলছে কাজ। সরকার বিদেশযাত্রীদের ব্যাপারে আন্তরিক। সেই নির্দেশনা মেনে গ্রাহকদের আন্তরিক সেবা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতায় পুরো ভবন এলাকা। এখানে কোন দালাল চক্র আসার সুযোগ নেই।
অফিসের বাইরে পর্যাপ্ত জায়গা ও অবকাঠামো না থাকায় সেবাপ্রর্থীদের ভীড় আর ঠেলাঠেলি লেগে থাকে। এ ব্যাপারে মাঝে মাঝে অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটছে। এই অতিরিক্ত ভীড়ে লাইনে থাকতে অনিচ্ছুকরা বিভিন্ন জনের সহায়তা নেয়ার সুযোগ খুঁজেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগায় কথিত দালালরা। তারা লাইনে দাঁড়ায় বা দ্রুত পাসপোর্ট করে দেয়ার নামে টাকা পয়সা আদায় করে। এদের সাথে পাসপোর্ট অফিসের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন সম্পর্ক নেই।
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সংকেত ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে ফাইল গ্রহণ ও ছাড়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, প্রমাণসহ এমন অভিযোগ নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এখনই পাসপোর্টের যুগ। তাই, যাতে কোন ভুল না হয় সেদিকে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ ব্যাপারে সেবাপ্রার্থীদের দালাল বা অন্য কাউকে দিয়ে ফরম পূরণ না করে নিজের হাতে করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এসময় তিনি আর বলেন, সহজে যাতে মানুষ পাসপোর্ট হাতে পান সেজন্য সরকার রোহিঙ্গা পরীক্ষা বাতিল করেছেন। জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপে আগের ছেয়ে বেড়েছে সেবার মান কমছে ভোগান্তি। পাসপোর্ট সেবার মান বাড়াতে এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :