গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় সুফি বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ সুফি বেগমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার দেবর ও সাবেক পুলিশ সদস্য অভিযুক্ত লিয়াকত মোল্লাকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম । তিনি জানান, কাশিয়ানী উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামের লিয়াকত মোল্লা তার পৈতৃক সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ বিক্রি করে চলে যান। পরে তিনি আবারো সম্পত্তি দাবি করলে দুই ভায়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে লিয়াকত মোল্লা তার ভাবি (ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী) সুফি বেগমকে ঘর থেকে টেনে বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। সেখানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে সুফি বেগমের হাত-পা বেঁধে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর দ্বগ্ধ অবস্থায় সুফি বেগমকে প্রথমে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সুফি বেগম মারা যান। নিহত সুফি বেগম গোপালগঞ্জের কাশিয়ান উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর লিয়াকত মোল্লাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :