Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হজে গিয়ে যেসব ভুল করবেন না


দৈনিক পরিবার মে ২০, ২০২২, ০৩:১৭ পিএম হজে গিয়ে যেসব ভুল করবেন না

ঢাকাঃ হজ ফরজ বিধান। প্রাপ্ত বয়স যেসব মুসলিমের যাওয়া-আসা ও অন্যান্য সব রকম খরচ বহনের সামর্থ্য আছে, তাদের ওপর হজ ফরজ। কেউ হজ ফরজ হওয়ার পর আদায় না করলে আল্লাহ তাআলা তাকে কঠিন শাস্তি দেবেন।

হজের সফর অন্য সফর থেকে ভিন্ন। হজে গিয়ে তাই সতর্ক থাকতে হয়। এখানে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো হজে গিয়ে না করা চাই।  

অনেকে ভুল করে হজে গিয়ে মুসাফিরের নামাজ পড়ে। অথচ মাসালা হলো, যদি মক্কা-মিনা-মদিনা মিলিয়ে কেউ ১৫ দিন বা তার বেশি থাকার নিয়ত করে, তাহলে সে মুকিম গণ্য হবে। তাহলে তাকে মক্কা, মদিনা, মিনা, মুজদালিফা ও আরাফায় চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ চার রাকাতই পড়তে হবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৮৭)

 মিনায় ১২ বা ১৩ তারিখ পর্যন্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে যদি কোনো দিন শুক্রবার হয়, তাহলে মিনায় জুমার নামাজ পড়তে হবে। (তাতারখানিয়া, পৃ. ৫৫৩)

হজে গিয়ে অনেক নারী চেহারা খোলা রাখেন। অথচ মাসালা হলো, চেহারা দেখানো যাবে না, তবে বোরকার নেকাব চেহারার সঙ্গে লাগিয়ে রাখবে না। এর জন্য এমন কিছু ব্যবহার করতে হবে, যাতে করে নেকাব চেহারার সঙ্গে না লেগে থাকে।

অনেক নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মসজিদুল হারামে গিয়ে থাকেন। এতে ভিড় বেশি হয়। ফলে তারা হাজারো পুরুষের ধাক্কা খাচ্ছে, ধাক্কা দিচ্ছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নারীরা মসজিদে নামাজ পড়ার চেয়ে ঘরে নামাজ পড়া উত্তম। ’ এ থেকে বোঝা যায়, কোনো নারী হজ বা ওমরাহে এসে ঘরে নামাজ পড়লে এক লাখের চেয়ে বেশি সাওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৬৫৯৮, ২৬৬২৬)

এক শ্রেণির হাজি আছে, যারা সারা দিন মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে থাকে। অথচ প্রাণীর ছবি তোলা হারাম কাজ। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৫৯৫০)

অনেক পুরুষ ইহরাম খোলার সময় দাড়ি মুণ্ডায়। এরা ১০০ বার হজ করলেও তাদের হজ কবুল হবে না।

‘তালবিয়া’ ব্যক্তিগত আমল। সবাই যার যার ‘তালবিয়া’ পড়বে। দেখা যায়, অনেকে দলনেতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তালবিয়া পড়তে থাকে। অথচ এর কোনো প্রমাণ নেই।

 ব্যাংকের মাধ্যমে কোরবানি করানো উচিত নয়। কারণ এতে কখনো কখনো ১০ তারিখে বড় শয়তানকে কংকর মারার আগেই কোরবানি হয়ে যায়। আবার কখনো কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার আগে মাথা মুণ্ডানো হয়ে যায়। আর এ উভয় ভুলের দরুন তামাত্তু ও কিরানকারীর ওপর দম ওয়াজিব হয়ে যায়। কারণ তাদের জন্য ১০ তারিখে এই তিনটি কাজে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি—এক. বড় শয়তানকে কংকর মারা। দুই. কোরবানি করা। তিন. মাথা মুণ্ডানো। এ জন্য নিজেরা বা বিশ্বস্ত লোক পাঠিয়ে কোরবানির ব্যবস্থা করা জরুরি।

Side banner