বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশন নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বের নিরাপদতম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত শান্তিপ্রিয় মনোভাব, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার কারণে দেশটিকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী ভ্রমণকারী, সমকামী সম্প্রদায় এবং যেকোনো মানদণ্ডে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও নেদারল্যান্ডস বেশি স্কোর পায়। ২০২৪ সালে নেদারল্যান্ডস ১৪তম স্থানে ছিল। সেখান থেকে এবার উঠে এসেছে শীর্ষে।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তার সংজ্ঞা শুধু অপরাধের হারের ওপর নির্ভর করে না। এখন পর্যটকেরা স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিস্থিতি, পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং ভ্রমণকারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশের বিষয়গুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। জরিপে দেখা গেছে, এই দিকগুলোতে নেদারল্যান্ডস অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। তাই ২০২৬ সালে ভ্রমণের জন্য এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে তালিকার প্রথমে রয়েছে।
গত বছরের নিরাপদ দেশ আইসল্যান্ড এবার নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। তবু বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে আইসল্যান্ড সমাদৃত। দেশটির বড় ঝুঁকি হলো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ। কারণ, লাভা প্রায়ই দেশের একমাত্র রিং রোডে প্রভাব ফেলে, যা পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
২০২৬ সালের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং সন্ত্রাসবাদের কম ঝুঁকিতে থাকার কারণে শীর্ষে এসেছে। অস্ট্রিয়া তিন নম্বরে অবস্থান করছে আর পাঁচ নম্বরে আছে কানাডা।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে সংস্থার জরিপে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি আমেরিকান ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জরিপে সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দেশগুলোর নিরাপত্তা মান নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৬ সালে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ দেশ হিসেবে নির্বাচিত ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, জাপান, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্ক।
নিরাপদ দেশ হিসেবে এই দেশগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক, শান্তিপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করবে। সঠিক প্রস্তুতি এবং সচেতনতার মাধ্যমে পর্যটকেরা নিরাপদ ও আনন্দের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন এ দেশগুলোতে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার








































আপনার মতামত লিখুন :