নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের দোকান ঘর ও নামাজের জায়গা ভাংচুরের অভিযোগে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ দাবি করে বলেন, পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহা যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এলাকার একজন ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের গ্যারেজের জায়গায় একটি ইটের দোকান ঘর নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিদ্যালয়ে কোন অ্যাসেম্বিলি হয়না বলে এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে বার বার মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের অন্যদের কাছে ঘর নির্মাণ ও আ্যাসেম্বিলির বিষয়ে জানতে চাই। এসময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ কেউ কিছু বলতে রাজি হয়নি। বাধ্য হয়ে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তাদের প্রতিনিধি এসে বিদ্যালয়ের গ্যারেজের জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর আবারো এ্যাডহক কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে আবারো দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করার চেষ্টা করলে বিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা ইটের দেয়াল ভেঙ্গে দেয়। তবে এসময় নামাজের ওয়াক্তখানা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এই ঘটনার দায় থেকে বাঁচতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে এবং মিথ্যে চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলে। এই বিষয় নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মেহেদি হাসান, আসলাম হোসেন, এরশাদ হোসেন আনারুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তোলা চেয়ারম্যানের অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্রকে একাধিকবার ফোন এবং ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন সাড়া বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, দোকান ঘর ও নামাজের জায়গা ভাংচুরের দিনে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে লোক মারফতে শুনেছি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে লোকজন ভেঙ্গে দিয়েছে। এছাড়া টাকার বিনিময়ে যোগসাজসে দোকান ঘর নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান যে অভিযোগ তুলেছেন তা সত্য নয় বলে দাবি করেন শহিদুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :