বগুড়া সোনাতলায় সাংবাদিক বিকাশ স্বর্ণকার কে প্রাণনাশের হুমকিতে ন্যায় বিচারের আশায় তিনি থানায় জিডি করেছেন। থানায় জিডি সুত্রে জানা গেছে গত ২০শে আগস্ট পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে সন্ধ্যায় তার প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এমন সময় পৌরধীন(পুরাতন বন্দর)তিন মাথা মোড়ে আকন্দ মার্কেটে সাংবাদিক এর প্রতিষ্ঠানের সামনে মৃত রঘুনাথ গুপ্ত এর ছেলে তাপস গুপ্তের নেতৃত্বে তার ছেলে অসমিত কুমার গুপ্ত (১৮) আগুনিয়াতাইর (হাঁড়ি পাড়ায়) সুমনের ছেলে সম্পদ কুমার (১৮) ও (সুইপার কলোনীর) মৃত হিরা লাল হরিজনের ছেলে রাজ হরিজন এসে সাংবাদিক বিকাশ এর ছেলে বিজয়কে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। সেসময় সাংবাদিক বিকাশ স্বর্ণকার তাদের গালমন্দ করতে নিষেধ করে। এসময় তাদের সাথে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে সাংবাদিক বিকাশ রাস্তার উপর উঠলে তাপসের ছেলে অসমিত গুপ্ত ও সম্পদ কুমার এর হাতে থাকা ধারালো জাতীয় অস্ত্র দিয়ে মারতে উদ্যত হন।
এমন সময় সাংবাদিক বিকাশের চিৎকারে স্থানীয় পথচারী এগিয়ে এলে তাপস গুপ্ত, অসমিত গুপ্ত ও সম্পদ কুমার চরম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আজ তোরা বাপ-বেটা লোকজন আসায় প্রাণে বেঁচে গেলি। সুযোগ মতো পাইলে হত্যা করে তোদের লাশ গুম করে ফেলবো- মর্মে হুমকি দিয়ে সটকে পড়েন।
নিজের তথা পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাংবাদিক বিকাশ থানায় গিয়ে জিডির আবেদন করেন। তবে সার্ভার ত্রুটির কারণে সেদিন জিডিটি এন্ট্রি হয়নি। গত ৯ই সেপ্টেম্বর সার্ভার সচল হলে তার জিডিটি থানায় এন্টি হয়।
উল্লেখ্য বিগত ২০২০ সালে তাপস ও তার বড় ভাই দিলিপ গুপ্ত মিলে আতর্কিত ভাবে তিন মাথা মোড়ের একটি মার্কেটে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের সময় মারধর করে। পরে ২০২৩ সালে সাংবাদিক বিকাশের ছেলে পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় কম্পিউটার এর ট্রেনিং শেষে বাড়ি ফেরার সময় অসমিত গুপ্ত, সম্পদ কুমার ও রাজ হরিজন মিলে বেধড়ক মারপিট করে। কিছু দিন পূর্বে তাপসের বাড়ির সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে রাতে বাড়ি যাবার সময় সাংবাদিক বিকাশকে মারধরের পরিকল্পনা করে। তবে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সে যাত্রায় রক্ষা পায় সাংবাদিক।
এদিকে সম্প্রতি কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর গ্যাং এর সদস্য দের দ্বারা অনেকেই অনেক ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সুশিল সমাজের অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, কাউকে জনসম্মুখে এভাবে হয়রানি করা ঠিক নয়।
সোনাতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, সহ-কর্মীকে এভাবে হেনস্থা করা মোটেও ঠিক হয়নি।
সিনিয়র সাংবাদিক রেজাউল করিম মানিক বলেন, সাধারণ বিষয় নিয়ে হত্যার হুমকি মোটেও কাম্য নয়।
জিডি’র বিষয়টি স্বীকার করে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :