সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু, বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল ও ইস্কাফ সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৯ ও ৩০ অক্টোবর) রাতে ও দিনে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি’র বিশেষ টহলদল কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় ৩টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু, বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল ও ইস্কাফ সিরাপ জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু ও মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, ঝাউরানী বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার উত্তর ঝাউরানী, মোগলহাট বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাট সদর থানার মোগলহাট জিরো পয়েন্ট ও গংগারহাট বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী নামক স্থানে রাতে ও দিনে বিজিবি’র ৩টি বিশেষ টহলদল অভিযান চালায়। কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা ভারতীয় গরু ও অন্যান্য মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ফেলে রাখা মালামাল গুলো তল্লাশি করে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ ১টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ভারতীয় ফেন্সিডিল ৫১টি বোতল, যার বাজার মূল্য ২০হাজার ৪শত টাকা, ইস্কাপ সিরাপ ২০টি বোতল, যার সিজার মূল্য ৮হাজার টাকা, মোটর সাইকেল ১টি, যার সিজার মূল্য ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা ও ভারতীয় গরু ৮টি, যার সিজার মূল্য ৯লক্ষ ৬০হাজার টাকা, সর্বমোট বাজার মূল্য ১১লক্ষ ৮হাজার ৪শত টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবীদের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধ ও মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা চোরাচালান প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।








































আপনার মতামত লিখুন :