Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

পটুয়াখালীতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে কুপিয়ে হত্যা


দৈনিক পরিবার | স্টাফ রিপোর্টার অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম পটুয়াখালীতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে কুপিয়ে হত্যা

পটুয়াখালীতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ার জেরে মফিজুল (৩৮) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখমের ২০ দিন পর আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আনুমানিক দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
নিহত মফিজুল লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজারে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের প্রদর্শন হিসেবে ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হওয়ার জেরে স্থানীয় বিএনপি নেতা মফিজুল মৃধাকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ সোহাগ মাঝি ও তার সহযোগীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলে ৫ পুলিশ সদস্যের ওপরও হামলা হয়। 
এ সময় এএসআই জহির, এসআই আবদুর রহমান, কনস্টেবল মহিবুল্লাহ, রানা ও সাইফুল ইসলাম আহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরপর গুরুতর অবস্থায় মফিজুলকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। টানা ২০ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ তার মৃত্যু হয়। বিকেলে মফিজুলের মরদেহ বাড়িতে আনার পর থেকেই তার পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
নিহতের বোন সোনিয়া আক্তার বলেন, সত্যের পক্ষে থাকায় ওরা আমার ভাইরে কোপাইয়া মাইরা ফালাইছে, আমার ভাইরে যে যে মারছে আমি ওগো ফাঁসি চাই।
নিহত মফিজুলের স্ত্রী রাবেয়া কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় ওরা তাকে হত্যা করেছে। আমার দুইটি মেয়ে ওরা এখন কাকে বাবা বলবে?..
নিহতের মা আকলিমা বেগম বলেন, আমার পোলারে মানুষ করছি সৎ পথে চলার জন্য, ন্যায়ের পাশে থাকায় আজ তার প্রাণ চলে গেল। আমি এর বিচার চাই। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশেরও ৫ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমিনুল হক চৌধুরী (৪৫), পলাশ হাওলাদার (২৫) ও রমজান আলী (৬৫) নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

Side banner