Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২
বসতবাড়ির পাশে পুকুর খনন

ধসে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কে গাংনীর ৪ পরিবার


দৈনিক পরিবার | মাহাবুব ইসলাম অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম ধসে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কে গাংনীর ৪ পরিবার

অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে যেকোনো মুহূর্তে বসতবাড়ি পুকুরে ধসে পড়ার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের সহগোলপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার চারটি পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, সহগোলপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে সাহেব কয়েকদিন ধরে ভেকু মেশিন দিয়ে বসতবাড়ির একেবারে কোল ঘেঁষে পুকুর খনন করছেন। এতে আশপাশের মাটি সরে গিয়ে পাশের বাড়িগুলোর পাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ফাটল আরও বড় হচ্ছে। ফলে যে কোনো সময় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী হাসান আলী বলেন, বাপ-দাদার পৈতৃক জমিতে বহু বছর ধরে বসবাস করছি। কিন্তু সাহেব তার টাকা-পয়সা ও প্রভাব খাটিয়ে জোর করে বসতবাড়ির পাশে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করছে। এতে পাড়ের নিচের দিকটা ফাঁপা হয়ে গেছে। এখন সামান্য বৃষ্টি বা কম্পনে পাড় ধসে পড়ে ঘরবাড়ি পুকুরে বিলীন হতে পারে। আমরা পরিবারসহ চরম আতঙ্কে আছি।
আরেক বাড়ির মালিক নয়ন বলেন, রাতে ঘুমাতে পারি না। ঘরের নিচে ফাটল ধরেছে। বাচ্চারা বাইরে গেলে ভয় লাগে,যদি মাটি ধসে পড়ে যায়!
স্থানীয় বাসিন্দা ঝুন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়েই এভাবে পুকুর খনন করছে। প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাইনি।
স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পাড় ও আশপাশের জমি একেবারে নিচু হয়ে গেছে, ফলে মাটির স্থিতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এভাবে অনুমতি ছাড়া পুকুর খননের কারণে শুধু ওই চার পরিবারই নয়, আশপাশের আরও কয়েকটি পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পুকুরের মালিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এটি আমার বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি। আমার পুকুর আমি খনন করব, এর জন্য সরকারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুকুর খননের জন্য তাদের কোনো অনুমতি ছিল না। তাই অবিলম্বে কাজ বন্ধ করে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাবিদ হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Side banner