একটি দুরন্ত ফুটফুটে শিশু ফাহিম। হঠাৎ নিস্তেজ প্রাণের মতো শুধু অপলক চেয়ে থাকে। তার চোখে মুখে এখন যেন শুধুই বিষন্নতার ছাপ। কারণ শিশু ফাহিম এখন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। পাঁচ লাখ টাকা হলেই তার অপারেশন সম্ভব। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় সেটি অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ফাহিম যশোরের খাজুরার স্থানীয় বন্দবিলা ইউনিয়নের ঘোপদূর্গাপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। সে ঘোপদূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফাহিমের মা মুক্তি খাতুন জানান, ১ মাস আগে শারীরিক সমস্যা দেয় ফাহিমের। জ্বর জ্বর লাগে, বমি ও মাঝে মাঝে প্রচণ্ড মাথাব্যাথা হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পর যশোরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফাহিমের রক্তে ইনফেকশন শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিটিস্ক্যান রিপোর্টে ব্রেইনে টিউমার ধরা পড়ে।
ফাহিমের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে ফাহিমের চোখ বুঁজে আসছে। জোর করেও তাকিয়ে থাকতে পারে না। দেখতেও পারছে না ঠিকমতো। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ধানমণ্ডির গ্রিণ লাইফ হাসপাতাল নেওয়া হলে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দেরি হলে টিউমার থেকে ক্যানসার হতে পারে।
আমিরুল পেশায় একজন দোকান কর্মচারী। তার দুই ছেলের মধ্যে ফাহিম ছোট। বড় ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক শাহ আলম (১৫) কয়েকদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। আর মুনিয়া নামে পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানও রয়েছে আমিরুল দম্পত্তির। ঘোপদূর্গাপুর সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পে তাদের বসবাস। ছেলের ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার খবরে এখন দিশেহারা ফাহিমের পরিবার।
ইতোমধ্যে সন্তানের চিকিৎসার জন্য ধারদেনা করে ১ লাখ টাকা যোগাড় করতে পেরেছেন ফাহিমের বাবা। অপারেশনের বাকি ৪ লাখ টাকা তার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব নয়। এখন প্রাণপ্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে ফাহিমের পরিবার। সবাই মিলে এগিয়ে এলে এই পরিমাণ অর্থ যোগাড় করা হয়তো অতটা কঠিন হবে না।
ফাহিমকে বাঁচাতে তার বাবা আমিরুলের বিকাশ ও নগদ ০১৭৯০-০৫৩৭৮২ নম্বরে আপনার সহায়তা পৌঁছে দিতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :