Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

হরিণাকুণ্ডুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ পালিত


দৈনিক পরিবার | ইনছান আলী এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০১:১২ পিএম হরিণাকুণ্ডুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ পালিত

আজ রোববার ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। ১৪৩১ সালের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্যদিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল শনিবার। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।
আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এ স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় এ নববর্ষ।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় বাংলা বর্ষবরণের নানা আয়োজন।
‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে। এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
হরিণাকুণ্ডুতে মঙ্গল শোভাযাত্রার উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন, পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার কুণ্ডু, অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমান, ৩ নং তাহের হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনজুর রাসেদ, ২নং জোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া, ১ নং ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হুদা তুষার, ৮নং চাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, ৫নং কাপাশাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরাফত দৌলা ঝন্টু, ৬নং ফলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান এবং ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন।
শোভাযাত্রাটি প্রথমে হরিণাকুণ্ডু শিল্পকলা একাডেমী থেকে শুরু করে শোভাযাত্রাটি লালন শাহ্ কলেজ হয়ে পরে একতারা মোড় হয়ে দোয়েল চত্ত্বর এসে শেষ হয়।

Side banner